বাংলা হান্ট দিক: মোহাম্মদ মুইজ্জু মলদ্বীপের (India-Maldives) রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ওই দেশে দুই দিনের সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি মলদ্বীপের স্বাধীনতার ৬০ তম বার্ষিকী উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে সেখানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী আগামী ২৫ এবং ২৬ জুলাই মলদ্বীপে উপস্থিত থাকবেন।
মলদ্বীপ (India-Maldives) সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মলদ্বীপ (India-Maldives) সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এদিকে, মলদ্বীপের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে প্রধান অতিথি করার বিষয়টি এটাই ইঙ্গিত করে যে মলদ্বীপ এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আবারও সঠিক পথে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি, মলদ্বীপ তার অতীতের ভুলগুলিও বুঝতে পেরেছে।
এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে মোদী দুই দিনের সফরে ব্রিটেনে যাবেন এবং তারপর মলদ্বীপ (India-Maldives) ভ্রমণ করবেন। ব্রিটেন সফরে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করাই মূল লক্ষ্য থাকবে। এদিকে, আগামী ২৫ থেকে ২৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর মালদ্বীপ সফরকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতে পরিচালনা করে ৬,৭৫০ টি পেট্রোল পাম্প! রাশিয়ার সেই সংস্থাই দেশে করবে ৭০,০০০ কোটির বিনিয়োগ
উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে চিনপন্থী হিসেবে বিবেচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর দুই দেশের (India-Maldives) মধ্যে সম্পর্ক প্রভাবিত হয়। জানা গিয়েছে লন্ডন থেকে, মোদী মালদ্বীপ যাবেন। তিনি আগামী ২৬ জুলাই মালদ্বীপের স্বাধীনতার ৬০তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এদিকে, এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং “ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব”-র জন্য ভারত-মলদ্বীপ যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: সহজ হবে না ম্যানচেস্টার টেস্ট! ইংল্যান্ডের এই ৫ খেলোয়াড়কে ঘিরেই চিন্তা বাড়ছে ভারতের
জানিয়ে রাখি যে, গত বছরের অক্টোবরে মুইজ্জুর ভারত (India-Maldives) সফরের সময়ে এই যৌথ পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, “এই সফর ভারত তার সামুদ্রিক প্রতিবেশী মলদ্বীপের প্রতি কতটা গুরুত্ব দেয় তা প্রতিফলিত করে। যা ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি এবং ‘ভিশন ওশান’ (এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ও বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অগ্রগতি)-এর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ স্থান দখল করে।” মন্ত্রক জানিয়েছে যে, এই সফর উভয় পক্ষের জন্য ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর এবং শক্তিশালী করার সুযোগ করে দেবে।