বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রথম দিকে ভারতের (india) সঙ্গে মোটামুটি সম্পর্ক থাকলেও, বর্তমান সময়ে পাকিস্তানের ন্যায় শত্রুপক্ষে পরিণত হয়েছে চীন (china)। লাগাতার সীমান্ত এলাকায় দেখা যাচ্ছে চীনের দৌরাত্ম্য। কড়া পাহারা মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। তাঁরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় চাইনিজ সেনার আনাগোনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে একচুলও নড়াতে নারাজ ড্রাগনরা।
এরই মধ্যে নিজেদের সুরক্ষার্থে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত নিয়ে কিছুটা শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে ভারত। ওই এলাকায় নজরদারী করার জন্য সেনার সঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে অত্যাধুনিক হেরন ড্রোন (Heron drone)। যার ফলে সেনা ঘাঁটি থেকেই সীমান্ত এলাকায় চীনের যে কোন কার্যকলাপের উপর নজর রাখতে পারবে ভারতীয় সেনারা।
দেশের অত্যাধুনিক ড্রোনগুলির মধ্যে অন্যতম হল ইজরায়েলের তৈরি এই হেরন ড্রোন। এর ফলে যে কোন সময় চীন থেকে আগত হামলার উপর নজর রাখা সম্ভব হচ্ছে। মেজর কার্তিক গর্গ জানিয়েছেন, ‘৩০ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম এই ড্রোন। একটানা ২৪ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত ছবি তুলতে পারে এই ড্রোন। আর সমস্ত ছবি তৎক্ষণাৎ চলে আসছে সেনাদের হাতে। সঙ্গে খাবার আবহাওয়াতেও নজরদারি করতে সক্ষম এই ড্রোন। নজরদারির ক্ষেত্রে এই ড্রোন ভারতের হাতে আসার পর ভরসা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে’।
এই অত্যাধুনিক ড্রোনের বিষয়ে লেফট্যানেন্ট জেনারেল অমিত দাধোয়া জানিয়েছেন, ‘সেনাবাহিনীকে যে কোনও অপারেশনে সাফল্য দিতে পারে এই ড্রোন। পাশাপাশি হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের তৈরি এয়ারক্রাফ্ট যে কোন সুর্গম রাস্তাতে সহজেই চলতে সক্ষম’।
প্রসঙ্গত, সীমান্ত এলাকায় দৌরাত্ম্য বাড়াচ্ছে চীন। অত্যাধুনিক ফাইটার জেট থেকে শুরু করে প্যাংগং হ্রদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে নাগরি গুনসা এয়ারবেসের শক্তি বাড়াচ্ছে ড্রাগন। চীনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকে বসেও মেলেনি কোন সমাধান সূত্র। নিজের জায়গা থেকে একচুলও সরতে নারাজ জিনপিং-র সেনারা।