বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতবাসীর কাছে প্রকাশ্যে এল গর্বের খবর। গত কয়েক দশকে বৈজ্ঞানিক সক্ষমতায় এগিয়েছে G-20 এর অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো। এরই মধ্যে আজ বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভারত G-20 দেশগুলির মধ্যে তৃতীয় স্থান অর্জন করলো। গবেষণাপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্রিটেনকেও পেছনে ফেলল ভারত।
ভারতের কৃতিত্বের প্রশংসা করেছে চীনের সরকারি মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসও। গ্লোবাল টাইমস এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, ভারত ২০২২ সালে ২৭৮, ৪৯৬টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশ করেছে। যেখানে ব্রিটেন একই সময়ের মধ্যে ২৩৭,৮৪২টি গবেষণা প্রকাশ করেছে। বর্তমানে ব্রিটেন র্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে।
আরোও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে কেজরির জেলযাত্রা! ভবিষ্যতদ্রষ্টা রুদ্রকরণ এবার বিচার করলেন মোদির ‘ফিউচার’
নেদারল্যান্ডের প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ারের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে, ভারতে লেখকদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক প্রকাশনার সংখ্যায় ৯.৭ শতাংশ বৃদ্ধির হার পরিলক্ষিত হয়েছে। যেখানে একই সময়ে ব্রিটেনে ক্ষেত্রে হার মাত্র ১.৯ শতাংশ। এদিকে চীনে গবেষণা প্রকাশনার বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৩ শতাংশ এবং আমেরিকায় ০.৫ শতাংশ।
আরোও পড়ুন: দুর্দান্ত ঘোষণা ভারতীয় রেলের! তিরুপতির উদ্দেশ্যে চলবে স্পেশ্যাল ট্রেন, প্রকাশ্যে এল রুট সহ সময়সূচি
এই সংখ্যাটিও গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিশ্বের মোট বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশনার ৭৫ শতাংশ G-20 দেশের গবেষকরা সহ-লেখক। এলসেভিয়ার রিপোর্ট অনুসারে, ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে গবেষণা প্রকাশনার ক্রমবর্ধমান সংখ্যা অপ্রত্যাশিত নয়, বরং বেশ তাৎপর্যপূর্ণ এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবও রয়েছে।
এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বৈজ্ঞানিক উদ্যোগে অবদান রাখার জন্য ভারতের ক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। ভারতের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎপাদন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র গবেষণা প্রকাশনার পরিমাণ বৃদ্ধি করাই নয়, একাডেমিক মানের ক্ষেত্রেও কৃতিত্বের দাবি করেছে ভারত। বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রকাশনার র্যাঙ্কিংয়ে চীন প্রথম স্থানে রয়েছে।
গ্লোবাল টাইমসের এক্স হ্যান্ডেলের একটি পোস্ট অনুসারে, তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। এই দেশ ৭২১,২৫১টি বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। ২০১,৭৩৫টি গবেষণা পত্র প্রকাশ করে জার্মানি পঞ্চম স্থানে রয়েছে৷ ১৫৩,৬০৩টি গবেষণা পত্র প্রকাশ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ইতালি। সপ্তম স্থানে জাপান (১৪২,১১৪), অষ্টম স্থানে কানাডা (১৩২,০৫৭), নবম স্থানে অস্ট্রেলিয়া (১২৫,৯১৫) এবং দশম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স (১২৪,৬৮৯)।