বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack) হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এরপর থেকেই একের পর এক ‘অ্যাকশন’ নিচ্ছে ভারত (India)। ইতিমধ্যেই সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিতস্তার জল ছেড়েছে ইন্ডিয়া। এর ফলে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জল থইথই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহেই ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি দিলেন পাক মন্ত্রী হানিফ আব্বাসি।
ভারতে (India) পরমাণু হামলার হুমকি!
হানিফ এদিন বলেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানের জল সরবরাহ বন্ধ করার সাহস দেখায়, তাহলে তারা যেন পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকে। আমাদের সামরিক অস্ত্র, মিসাইল শুধুমাত্র সাজিয়ে রাখার জন্য না। আমরা কোথায় পরমাণু অস্ত্র রেখেছি কেউ জানে না। আমি ফের বলছি, এই ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলি তোমাদের দিকেই তাক করে রাখা আছে’।
এখানেই না থেমে পাকিস্তানি এয়ারস্পেস বন্ধ রাখা নিয়েও মুখ খোলেন হানিফ (Hanif Abbasi)। ভারতীয় বিমান ঘুরপথে যাচ্ছে, এই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আরও যদি ১০ দিন এভাবে চলে, তাহলে ভারতের এয়ারলাইনগুলি দেউলিয়া হয়ে যাবে’।
আরও পড়ুনঃ গরম পড়তেই ঊর্ধ্বমুখী ডিম্যান্ড! ১০,০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেল বাংলায় বিদ্যুতের চাহিদা
অন্যদিকে বিতস্তার জল ছাড়ায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বহুলাংশে জল থইথই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, আগেভাগে কোনও ঘোষণা ছাড়া ভারত উরি বাঁধের জল ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে প্রস্তুতি নেওয়ার কোনও সময় মেলেনি। এই পদক্ষেপকে ‘জল সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বিতস্তার জল ছাড়ার পর ভেসে গিয়েছে পাকিস্তান (Pakistan) অধিকৃত কাশ্মীরের হাট্টিয়ান বালা জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। চাকোটি, মুজাফফরাবাদের অনেক মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গতকাল রাত থেকে আচমকাই নদীর জল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। অবিলম্বে নদীর ধার থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা করা হয়। অনেকে প্রাণ বাঁচাতে জিনিসপত্র ছাড়াই সরে যান।
অন্যদিকে আগেভাগে ঘোষণা ছাড়া উরি বাঁধের জল ছাড়া নিয়ে পাকিস্তান সরব হলেও ভারতের তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানের আনা অভিযোগ স্বীকার অথবা অস্বীকার কোনোটাই করেনি এদেশের কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ‘অ্যাকশনে’ ভারত (India)। একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। আগেই সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করার কথা জানানো হয়েছিল। এবার কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়া বিতস্তার জল ছেড়ে দিল ইন্ডিয়া। এর ফলে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশে জল থইথই অবস্থা হয়েছে।