বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশে চালু হতে চলেছে জিএসটি ২.০ (GST)। শুক্রবার এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, নতুন ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো কর কাঠামোকে আরও সহজ করা এবং মানুষের জীবনকে স্বস্তি দেওয়া। ২০১৭ সালে চালু হওয়া জিএসটি ১.০-এর মাধ্যমে ‘এক দেশ, এক কর’-এর নীতি কার্যকর হয়েছিল। এবার ২.০ সংস্করণে সরকার জোর দিচ্ছে সরলতার ওপর।
কর প্রদানের জটিলতা কমাবে জিএসটি ২.০ (GST)
প্রথম দফার জিএসটি (GST) নানা রাজ্য কর একত্রিত করে একক জাতীয় কাঠামো তৈরি করেছিল। এবার জিএসটি ২.০ দুটি স্ল্যাব চালু করছে, যা কর প্রদানের জটিলতা অনেকটাই কমিয়ে আনবে। সরকারের দাবি, এর ফলে স্বচ্ছতা বাড়বে, ব্যবসার পরিবেশ আরও সহজ হবে এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির উপর করের চাপ হালকা হবে।
নতুন ব্যবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে থাকবে সর্বনিম্ন কর। যেমন- লবণ, চিনি একই হারে করযুক্ত হবে, তেমন বিলাসবহুল বা চিনিযুক্ত পানীয়ের ক্ষেত্রে কর বেশি ধার্য হবে। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে স্কুল স্তরের পড়াশোনা থাকবে করমুক্ত, তবে বাণিজ্যিক কোচিং সেন্টারগুলিকে ছাড় দেওয়া হবে না। অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট ভাবে বলেছেন যে, কম হার নির্দিষ্টভাবে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকেও কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে।
জিএসটি ৩.০ (GST)-এর আভাস
নতুন কাঠামো বাস্তবায়নের আগেই সীতারামন ইঙ্গিত দিয়েছেন জিএসটি ৩.০ (GST)-এর। তাঁর কথায়, কর ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল ও ন্যায্য করার দিকেই এগোবে তৃতীয় সংস্করণ। ছোট ব্যবসায়ীরা যাতে কোনও বিভ্রান্তি বা জটিলতার মধ্যে না পড়েন, সেদিকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে তৃতীয় সংস্করণে।
আরও পড়ুনঃ ‘স্কুল উন্নয়নের টাকায় বিদেশ ভ্রমন’, বারুইপুরে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করল শিক্ষা দপ্তর
প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশ যখন জিএসটি ২.০-র (GST) পথে হাঁটতে চলেছে, তখন সরকার আশা করছে এই সংস্কার শুধু করদাতাদেরই নয়, অর্থনীতিকেও নতুন গতি দেবে। এখন সাধারণ মানুষ কত দ্রুত এর সুফল পান, সেটাই দেখার। একইসঙ্গে জিএসটি ৩.০ (GST)-এর ইঙ্গিত ভবিষ্যতের আরও বড় সংস্কারের দিশা দেখাচ্ছে।