বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতকে (India) চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে স্ট্রিং অফ পার্লস তৈরীর প্ল্যান কষেছিল চিন (China)। আর তারই পরিকল্পনা মতো ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপে ঘাঁটি গেড়ে বসে তারা। সাথে শুরু হয় শি জিনপিংয়ের সেই স্বপ্নের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’। আর এই ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর অংশ হিসেবে গড়ে ওঠে চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা CPEC।
CPEC প্রকল্পের অধীনে চিন পাকিস্তানের গদর বন্দরকে উন্নত করে তোলে। অন্যদিকে ভারত তার কিছুদূরেই, ইরানের চাবাহারে গড়ে তোলে নতুন একটি বন্দর। আর সেই নিয়ে ১০ বছরের চুক্তিও করে ফেলেছে ভারত। আর এই নিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে ইরানে পৌঁছান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। এই চুক্তি হওয়ার পর ভারতের কাছে থাকবে ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব।
চাবাহার ভারতের হাতে এলে সেখান থেকে ভারত সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন আফগানিস্তান, মধ্য এশিয়া এমনকি ইউরোপের সাথেও। তাই এই চুক্তির গুরুত্ব অসীম ভারতের কাছে। চাবাহার ভারতের হাতে আসার পর ভারতের পরিকল্পনা রয়েছে চাবাহারের সাথে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরকে যুক্ত করা। যার ফলে সোজা রাশিয়ার সাথে যুক্ত হবে ভারত। এছাড়া আফগানিস্তানে পৌঁছানোর জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন পড়বেনা।
আরও পড়ুন:প্রয়াত সুশীল মোদী! ক্যান্সারের কাছে হেরে গেলেন বিজেপি নেতা, শোকপ্রকাশ মমতার
চাবাহার বন্দর উন্নয়নের জন্য ৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ভারত। ইতিমধ্যে বন্দরে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন, ছ’টি ভ্রাম্যমাণ হারবার ক্রেন ইরানকে দিয়েছে ভারত। চুক্তি অনুযায়ী চাবাহারের দেখভালের দায়ভার নেবে ভারত। এছাড়া ৬৩০ কিমি লম্বা চাবাহার-জাহেদান রেলপথের সাথেও এই বন্দর জুড়বে বলে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:সাবধান! এল নিনোর বিপদ কাটতেই আসছে নয়া দুর্যোগ, লা নিনা আনছে ভয়ঙ্কর বর্ষা, কবে এন্ট্রি?
উল্লেখ্য, গতবছর আয়োজন হওয়া ব্রিকস সামিটের সময়ই চাবাহার বন্দর নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে গাজা যুদ্ধের কারণে পশ্চিম এশিয়া অশান্ত। আরব সাগর অতিক্রম করে ভারতে আসা বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজকে আক্রমণ করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চাবাহার চুক্তি বেশ গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতে পারে।