বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী দিনে বিশ্বের চালিকা শক্তি হয়ে উঠতে চলেছে ৫জি (5G Service)। বর্হিবিশ্বের মতো ভারতেও দ্রুত চলছে ৫জি পরিষেবা দেওয়ার কাজ। তবে ভারতে প্রথম ৫জি পরিষেবা শুরু হয়নি। ইউরোপের (Europe) একাধিক দেশে ভারতের অনেক আগেই শুরু হয় অত্যন্ত দ্রুত গতির এই ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু আজ এই ক্ষেত্রে সবাইকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মোদির ভারত (India)। সম্প্রতি মাইক্রোসফট-এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও ভারতের প্রশংসা করেছেন ৫জি পরিষেবার দ্রুত সম্প্রসারণ নিয়ে।
এরিকসন মোবাইলের সিইও বোরজে এখোল্ম দাবি করেন ২০২৩ সালের মধ্যেই ৫ পরিষেবা প্রদানে ভারত সবচেয়ে আগে থাকবে। তিনি আরও বলে, তাঁর এই মন্তব্যের লক্ষ্য ৫জি পরিষেবার গতি। এখোল্ম ভারতের ৫জি পরিষেবার গতির একাধিকবার প্রশংসা কয়েছেন। তাঁর দাবি ভারতে প্রচুর দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এই কাজে বিশেষ সহায়তা করছে।
এরিকসন মোবাইলের সিইও মনে করেন ভারত একটি বিরাট বাজার। তিনি আরও বলেন, ‘আগে এই ক্ষেত্র প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে কাজ দিত। আমরা এই সংখ্যাটা আরও বাড়াতে চাইছি।’
বোরজে, আগে থেকেই চীন এবং ভারতের মত দেশে ৫জির প্রসার বৃদ্ধিকে সমর্থন করে আসছেন। তিনি ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে বলেছেন যে, ৫জি নেটওয়ার্কের পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে ভারত, আমেরিকা এবং ইউরোপের মত পাশ্চাত্য শক্তির চেয়ে ভাল। এই বিষয়টি, দেশের অভ্যন্তরীণ তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের পথ অনেকাংশে পরিষ্কার করতে সাহায্য করেছে। এছাড়া খুব শীঘ্রই ৫জির বিস্তারের কারণে ভারত সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
২০২২ সালের অক্টোবরে ভারতে ৫জি চালু করে দেশের দুই শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর রিলায়েন্স জিও (Reliance Jio) এবং ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel)। সেইসময় থেকে এই পর্যন্ত দেশের শত শত শহরের মানুষ হাইস্পিড আনলিমিটেড ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন, তাও আবার বিনা খরচে। আর, ৫জি স্পেকট্রাম নিলাম থেকে প্রাপ্ত বিডের পরিমাণ ভারতীয় টেলিকম শিল্পের জন্য যথেষ্ঠ বিস্ময়কর!