বাংলা হান্ট ডেস্ক : এবার ভারতের (Indian Army) হাতে আসতে চলেছে মারাত্মক এক ট্যাঙ্ক। এমন এক বিশেষ ধরনের ট্যাঙ্ক (Integrated Mobile Camouflage System) যা আক্রমণ হানবে শত্রুর চোখে ধুলো দিয়ে। বিপক্ষ বুঝতেই পারবে কোথা থেকে আসছে এই আক্রমণ? ঠাওর করার আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে এক একটি শত্রু ঘাঁটি। খালি চোখে তো নয়ই এমন থার্মাল র্যাডারকেও বোকা বানাতে পারে।
কোথায় তৈরি হবে ট্যাঙ্ক? এই ভারতের হাতে আসতে চলেছে ‘ইন্টিগ্রেটেড কেমোফ্লাজ ট্যাঙ্ক’। হাইপার স্টিলথ টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেডের হাত ধরে স্বদেশী প্রযুক্তি বানানো এই ট্যাঙ্ক খুব তাড়াতাড়ি সেনার হাতে চলেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, ডিফেন্স এক্সেলেন্স বা আইডিইএক্স প্রকল্পের হাত এই প্রথম কোনও উপকরণ পাচ্ছে ভারতীয় সেনা। গতকাল ১৪ মার্চ এই বিষয়ে একটি চুক্তিও সই করেছে ভারতীয় সেনা।
কেন বিশেষ এই ট্যাঙ্ক : কেমোফ্লাজ অর্থাৎ যে কোনও পরিবেশে নিজের রঙ বদল করতে সম্ভব হবে এই ট্যাঙ্ক। স্বাভাবিক সময়ে অন্যান্য ট্যাঙ্কগুলির মতোই এর রঙ হবে জলপাই। কিন্তু এটি জঙ্গলে থাকবে তখন এর রং পরিবর্তন হবে জঙ্গলের রঙেই। যখন এটি মরুভূমিতে থাকবে তখন এর রঙ হবে হলুদ বালির মতো। শুধু তাই নয়, বালি উড়ছে এমন চিত্রও ফুটে উঠবে এই ট্যাঙ্কের গায়ে।
এই ভাবে বারবার রঙ বদলে শত্রুর চোখকে ধুলে দিতে সক্ষম এই ট্যাঙ্ক। শুধু তাই নয় থার্মাল র্যাডারেও ধরা পড়বে এর ছবি। ট্যাঙ্কটি তৈরি হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড মোবাইল কেমোফ্লাজ পদ্ধতিতে। জানা যাচ্ছে এই ট্যাঙ্কটি একটি ফাইটার ট্যাঙ্ক। অর্থাৎ যে কোনও মুহুর্তে শত্রুপক্ষের উপর আঘাত হানতে সক্ষম। খালি চোখে, থার্মাল যন্ত্র, ইনফ্রারেড এবং র্যাডার সিস্টেমকেও বোকা বানাবে এই ট্যাঙ্ক।
ভারতের হাতে এই ট্যাঙ্ক চলে এলে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে পরবে চিন এবং পাকিস্তান। থর বা পাঞ্জাবের হলুদ বালির মধ্যেই হোক বা হিমালয়ে বরফের মাঝে, এই ট্যাঙ্ককে আলাদা করে বোঝা এক প্রকার অসম্ভব। এমনকি উত্তর পূর্ব ভারতে ঘন জঙ্গলের ভিতরও এই ট্যাঙ্ক লুকিয়ে থাকলে তাকে খুঁজে বের করার সাধ্য চিনের নেই।