বাংলাহান্ট ডেস্ক : বোমা এসে পড়ল ধানের জমিতে। বোমার আগুনেই পুড়ে গেল ওই জমির সব ধান। গ্রামবাসীরা রক্ষা পেল ক্ষতি হল আরও বিপুল। এই ঘটনায় আলোড়নও পড়ল গ্রামজুড়ে। জানা যায়, ভারতীয় বায়ুসেনার কলাইকুন্ডা ঘাঁটিতে পরীক্ষামূলকভাবে বোমা ছোড়ার প্রশিক্ষণ চলছিল।
দুর্ভাগ্যবশত লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি বোমা বিদ্যুতের হাইটেনশন তারে ধাক্কা খেয়ে পাশের ধানের জমির উপর পড়ে ফেটে যায়। ওই বোমার আগুনেই পুড়ে যায় ওই জমির সব ধান। ক্ষতিগ্রস্ত হল জমির পাশে পড়ে থাকা ট্রান্সফর্মার, জমিতে জল দেওয়ার পাম্প। তবে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন গ্রামবাসীরা।
আরোও পড়ুন : দেবের বিরুদ্ধে এবার বিজেপির তরুপের তাস হিরণ! পদ্ম শিবিরে চর্চা তুঙ্গে
এই ঘটনা রীতিমতো মাথায় হাতে চাষীদের। ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার কলাইকুন্ডা বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ চলাকালীন বোমা নিক্ষেপের জায়গা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বোমা নিক্ষেপ করে প্রশিক্ষণরত ফাইটার বিমান।
আরোও পড়ুন : এবার মমতার তোপের মুখে সরকারি কর্মীরা! মুখ্যমন্ত্রীর এক বয়ানে পড়ে গেল শোরগোল
সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা এলাকার পেঁচাবিদা ও চেমটিডাঙা গ্রামের রাস্তার পাশে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ধান জমিতে বোমাটি পড়ে। ৪ লাখ ভোল্টের হাইটেনশন তার ছিঁড়ে ধান জমিতে বোমা পড়তেই কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী। কৌতূহলী কিছু মানুষজন ভিড় জমান। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ফাটল ধরে গ্রামের একাধিক মাটির বাড়িতে।
বায়ুসেনা সূত্রে খবর, সোমবার তাদের এই মহড়া চলছিল। ফায়ারিং রেঞ্জ ছিল অনেকটা বড়। যেখানে বোমাটি পড়েছে সেটি ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই। তাই কেউ হতাহত হননি। কেউ। তবে গ্রামবাসীদের অনেকের ধান ছাড়াও বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ও জমিতে জল দেওয়ার পাম্প পুড়ে গিয়েছে। বোমার তীব্রতায় গ্রামের একাধিক বাড়ির চালা উড়ে যায়। এই মাটিতে আর ৪–৫ বছর ধান ফলবে না বলে আক্ষেপে সুরে জানিয়েছেন চাষিরা।