বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সাপোর এলাকায় বড়সড় সফলতা পেলো সেনা। সেনা সূচনা পেয়েছিল যে, এলাকায় এক লস্করের জঙ্গি আছে। সেনা সূচনা পাওয়ার পরেই এলাকা ঘেরাবন্দি করে লস্করের জঙ্গিকে পাকড়াও করে। আপনাদের জানিয়ে যে, ষড়যন্ত্রে ব্যার্থ হওয়া জঙ্গিরা এবার উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় অ-কাশ্মীরি মানুষদের নিশানা বানাচ্ছে। নিশানায় থাকা মানুষদের মধ্যে আপেল ব্যাবসায়ি, ট্রাক চালক আর মজুরেরাও আছে। এটা জঙ্গিদের নয়া ষড়যন্ত্র। এর আগেও জঙ্গিরা সেনা ছাড়াও গ্রামীণদের উপরেও হামলা চালায়। বিগত কয়েকদিকে জম্মু কাশ্মীরের জঙ্গিরা ট্রাক ড্রাইভার, আপেল ব্যাবসায়ি আর শ্রমিকদের নিশানা বানিয়েছে।
Jammu and Kashmir: In a joint operation, Indian Army and Jammu and Kashmir Police have arrested one Lashkar-e-Taiba (LeT) terrorist in Sopore pic.twitter.com/eTPEpj3OmB
— ANI (@ANI) November 2, 2019
বিশেষ রুপে দক্ষিণ কাশ্মীরে হওয়া এই জঙ্গি গতিবিধি গুলোতে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় সবথেকে বেশি ক্ষতি উপত্যকার মানুষদেরই হয়। কাশ্মীরের ব্যাবসায়িরা অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক এবং অন্য রাজ্যের ব্যাবসায়িদের অভাব বোধ করছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম এলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচ শ্রমিককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এছাড়াও একজন আহত হয়। নিহত সমস্ত শ্রমিকেরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিল। তাঁরা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা, আর তাঁরা অনেকদিন ধরেই কাশ্মীরে কাজ করছিল।
এর আগে ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ কাশ্মীরের সন্ত্রাস প্রবণ শোপিয়া জেলার চিত্রগামের জৈনপোরা এলাকায় জঙ্গিরা আপেল ভর্তি তিনটে ট্রাককে নিশানা বানায় লাগাতার গুলি চালায়। জঙ্গিদের ওই হামলায় দুইজন অ-কাশ্মীরির মৃত্যু হয়। আর একজন আহত হন। এক ব্যাক্তির পরিচয় রাজস্থানের আলবরের বাসিন্দা মোহম্মদ ইলিয়াস বলে জানা গেছে। আরেকজন পাঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। আর আহত ব্যাক্তি পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।