বুধবার ভোরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে সুরক্ষা বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে তিন জঙ্গি নিহত হয়। বিজবেহার পাজালপাড়া এলাকায় জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল। এরপরে সুরক্ষা বাহিনী একটি নাইট সার্চ অভিযান শুরু করে। সন্ত্রাসীরা একটি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল, তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা অস্বীকার করলে সৈন্যরা বাড়িটি উড়িয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, এনকাউন্টারে নিহত তিন সন্ত্রাসী হিজবুল মুজাহিদিনের সাথে সম্পর্কিত ছিল। নাসির চদ্রু হিজবুলের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন। বাকি দুজনের নাম জাভেদ ফারুক ও আকুব আহমেদ। আতঙ্কবাদীদের থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া গেছে।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অপসারণের পরে রাজ্যে টেলিকম পরিষেবাগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ৭০ দিন পরে, সোমবার, উপত্যকায় পোস্টপেইড মোবাইল পরিষেবা শুরু হয়েছে। এর পরে উপত্যকার সন্ত্রাসীদের সাথে সুরক্ষা বাহিনীর এটি প্রথম মুখোমুখি ঘটনা। অন্যদিকে, কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় সন্ত্রাসীরা একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। একজন বরিষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে মৃত ব্যক্তি ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা এবং কিছু দিন আগে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে কাশ্মীরে এসেছিল।
ভারত এখন আর একবাটি একশন মুডে চলে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছেন, ভারত থেকে পাকিস্তানে বয়ে যাওয়া সমস্ত জল আটকে দেওয়া হবে। আসলে পাকিস্তান কাশ্মীরে আতঙ্কবাদের বীজ বুনে রাখার চেষ্টা করছে। সেটাকে দমন করার জন্য মোদী সরকার বড়ো পদক্ষেপ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বেশিদিন চলা সম্ভব নয়। আমরা জাতীয় স্বার্থ এবং জাতীয় সুরক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। অর্থাৎ ইঙ্গিত স্পষ্ট ভারত সরকার পাকিস্তানের অন্তিম চিকিৎসা করার পদক্ষেপ নেবে।
ভারত থেকে অনেক নদীর জল পাকিস্তানে যায়। সেগুলিকে আটকে ভারতের কৃষকদের প্রদান করা হবে। এতে হরিয়ানা, পাঞ্জাব উত্তরাখন্ড এর কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবেন। পাঞ্জাবে পাকিস্তানের দিকে যাওয়া জল আটকানোর পক্রিয়া চলছে এবং কিছু জল আপাতত আটকেও দেওয়া হয়েছে।