বাংলা হান্ট ডেস্ক: আরো একবার শিরোনামে ভারতের সাথে মালদ্বীপ (Maldives) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (International Relations)। বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দেশের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে। বিশেষ করে মালদ্বীপে মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারত বিরোধিতা ওঠে চরমে।
নিজেদের দেশে বসেই ভারতের ব্যাপক বিরোধিতা শুরু করে মালদ্বীপের মুইজ্জু সরকার। আরও এই কাজে মালদ্বীপের দোসর হয় ভারতের প্রবল প্রতিপক্ষ চীন। মালদ্বীপ চীনের সাথে হাত মেলানোয় ভারত বিরোধিতা আরও জোরদার হয়ে ওঠে।
সে দেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেনা সরানোর পর থেকেই এবার নিজেরাই ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছে খোদ মালদ্বীপ সরকার।
এখানে বলে রাখি মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার এবং একটি ডোর্নিয়ার বিমান উপহার হিসেবে দিয়েছিল ভারত। এছাড়া তা পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একদল ভারতীয় সেনাও পাঠানো হয়েছিল সেদেশে। কিন্তু ভারতের সাথে মালদ্বীপের সম্পর্ক দিনের পর দিন এতটাই তিক্ত হয়ে ওঠে যে শুধুমাত্র ভারতের বিরোধিতা করার জন্য মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু ঘোষণা করেছিলেন সে দেশ থেকে যেন ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন: মোদী কূটনীতির দাপট! ৫ বন্দি ভারতীয় নাবিককে ফেরাল ইরান, বিরাট জয় ভারতের
তারপর ভারত সরকার মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এখন ওই তিন বিমানের স্থায়ী ঠিকানা মাটিতেই। এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন ভারতের দেওয়া তিনটি বিমান ওড়ানোর জন্য তাঁদের সেনাবাহিনীতে দক্ষ পাইলট নেই। তাঁর কথায় ওই বিমান ওড়ানোর জন্য তাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছিল সবে।
সব মিলিয়ে এমনিতেই মালদ্বীপের সাথে ভারতের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এখন তলানিতে। জানা যাচ্ছে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর নির্দেশের পর থেকে নানান আলোচনার পর ধাপে ধাপে মোট ৭৬ জন সেনাকে মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারত সরকার।
তবে মালদ্বীপের কাছে যে ওই তিন বিমান ওড়ানোর জন্য কোন প্রশিক্ষিত সেনা নেই সেই বিষয়টি মেনে নিয়েই মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন ‘এই প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একাধিক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু নানান কারণে নাকি সেই প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়নি।’