বাংলা হান্ট ডেস্ক: কানাডার (Canada) পাল্টা দিল ভারত (India)। কানাডার কূটনীতিককে বহিষ্কারের নির্দেশ কেন্দ্রের। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে কানাডার কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিল ভারত।
উল্লেখ্য, খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের (Hardeep Singh Nijjar) খুনের নেপথ্যে ভারত রয়েছে বলে এমনটাই দাবি করছে কানাডা। সেই কারণে কানাডায় নিযুক্ত এক উচ্চপদস্থ ভারতীয় কূটনীতিককে নির্বাসিত করেছে ট্রুডোর মন্ত্রিসভা। কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘কানাডার ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কানাডার নাগরিক হরদীপের খুনের সঙ্গে ওই বিভাগীয় প্রধানের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে বোঝা যাবে যে, কানাডার সার্বভৌমত্বের বড় রকম বিরোধিতা করা হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় তার প্রাথমিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে।’
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau) পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘কানাডার নাগরিক খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের নেপথ্যে ভারতীয়দের হাত থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। নিজের মাটিতে কানাডার নাগরিককে হত্যার সঙ্গে অন্য কোনও দেশ বা বিদেশি সরকারের জড়িয়ে থাকার বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না। এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, যা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।’
যদিও কানাডার এই অভিযোগ আগেই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার সকালে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, এই অভিযোগ ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে। গণতান্ত্রিক মতাদর্শ পালন করে ভারত। কানাডায় ঘটে যাওয়া কোনও হিংসার ঘটনায় সঙ্গে ভারত কোনওভাবে জড়িত নয়।’
উল্লেখ্য, জুন মাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কানাডার খলিস্তানি নেতা হরদীপের। ২০২২ সালে তাঁর মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল এনআইএ। আর তাঁর খুনের পর থেকেই ভারতকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এদিকে কানাডা ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ ভারত। আর এরপরই কানাডার বিরুদ্ধে পাল্টা কঠোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।