বার বার ভারত বিরোধী মন্তব্য, ৬ মাসের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হল ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে !

বাংলাহান্ট ডেস্ক : পদত্যাগ করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস (Liz Truss)। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। কিন্তু কেন পদত্যাগ করতে হল লিজ ট্রাসকে? যার নেপথ্যে উঠে আসছে বেশ কিছু কারণ। যার মধ্যে একটি কারণ কিন্তু ভারতের বিপক্ষে কথা বলা।

গত বুধবার লিজ ট্রাসের (Liz Truss) মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান। পদত্যাগপত্রে পরিষ্কার লিখে দিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো মেনে চলছে না সরকার। সেই জন্য সরকার ছেড়ে চলে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করেছেন ব্রেভারম্যান (Suella Braverman)।

টুইটারে নিজের পদত্যাগপত্রের ছবি আপলোড করেন ব্রেভারম্যান। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ট্রাসের উদ্দ্যেশে তিনি লেখেন, ‘আমি একটা ভুল করেছি। সেই ভুলের দায়িত্ব নিজের মাথায় নিয়েই আমি সরে যেতে চাই। সেই সঙ্গে আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েও যথেষ্ট চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। ভোটারদের কাছে আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেগুলো মানা হয়নি। আমাদের ইস্তাহারে যা কিছু লেখা ছিল, সেই কথাও মানা হয়নি।’

তবে পদত্যাগপত্রের সঙ্গে বিস্ফোরক একটি দাবিও করেন সুয়েল্লা। ব্রেভারম্যান লিখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি নিজের ব্যক্তিগত ইমেলের মাধ্যমে এক এমপিকে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাই সরকারি নিয়ম ভেঙেছেন, এই দায় স্বীকার করে মন্ত্রিসভা থেকে সরে যেতে চেয়েছেন তিনি।

ব্রেভারম্যান সম্প্রতি ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্যে তিনি ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের ভিসার সীমা পেরিয়ে যাওয়া নিয়ে বলেন। পরে, অবশ্য সেই মন্তব্য সামান্য হলেও ব্রেভারম্যান বদলান। তিনি বলেন, ‘ভারত আর ব্রিটেনের গল্প এতটাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত যে তারা অনেকাংশে একই গল্প।’ আর এই মন্তব্যই কাল দাঁড়ায় লিজ ট্রাসের সরকারের জন্য।

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে একের পর এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক হিন্দু মন্দিরেও। এই ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার উপযুক্ত পদক্ষেপ তো করেই নি উল্টে পরোক্ষভাবে দায়ি করে ভারতকে। লিজ ট্রাস প্রশাসন দাবি কে ভারত থেকে বহু মানুষ ইংল্যান্ডে আছেন। যার থেকেই এই সমস্যা। এইরকম ভারত বিরোধী মন্তব্য ইংল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর