বাংলা হান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি হিমালয়ের (Himalaya) গা থেকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছরের পুরোন জলের ফোঁটা আবিষ্কার করছেন ভারতীয় (India) ও জাপানি বিজ্ঞানীরা। সামুদ্রিক জলের এই ফোঁটাগুলি খনিজ ভান্ডারের মধ্যে ছিল। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই জলের ফোঁটা প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছর আগেকার। এই ঐতিহাসিক আবিষ্কারটি করেছেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc) এবং জাপানের নিগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
গত বৃহস্পতিবার IISC-র তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে এতে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট উভয়ই বর্তমান ছিল। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, এই আবিষ্কার পৃথিবীর ইতিহাসে এক বড় বদল আনতে পারে।
বিবৃতি অনুসারে, বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, ৭০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে, পৃথিবী পুরু বরফের চাদরে আবৃত ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে এর পরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেনের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা জটিল জীবন গঠনের বিকাশের দিকে পরিচালিত করে।
আইআইএসসি বলেছে যে বিজ্ঞানীরা এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না কী কারণে সুসংরক্ষিত জীবাশ্মের অভাব এবং পৃথিবীর ইতিহাসে সমস্ত প্রাচীন মহাসাগরে অদৃশ্য হয়ে গেছে। ভারতীয় ইনস্টিটিউট বলেছে যে, হিমালয়ে এই ধরনের সামুদ্রিক শিলা শনাক্তকরণ এমন অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
একজন গবেষক এবং প্রিক্যামব্রিয়ান রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার লেখক বলেছেন, “আমরা পুরানো মহাসাগরগুলি সম্পর্কে তেমন কিছু জানি না। তারা কি ভিন্ন বা একই ছিল? তারা কি বেশি অ্যাসিডিক, পুষ্টি সমৃদ্ধ, গরম বা ঠান্ডা ছিল, তাদের রাসায়নিক এবং আইসোটোপিক গঠন কী ছিল?” এই ধরণের আবিষ্কার পৃথিবীর প্রাচীন জলবায়ু সম্পর্কে তথ্য আনতে পারে। ভবিষ্যতে এর পরিণতি যাই হোক না কেন, কিন্তু হিমালয়ে এমন প্রাচীন জলের আবিষ্কার নিজের মধ্যেই একটি বড় অর্জন।