বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিত্যদিনই কোনো না কোনো কাণ্ডে চর্চায় উঠে আসছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার হয়তো শান্তি ফিরবে ওপার বাংলায়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে ঘটল অন্য রকম। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের একের পর এক ঘটনার জেরে আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে ইউনূস সরকার। এবার সব দোষ ভারতীয় মিডিয়ার উপরে চাপিয়ে দায় সারল বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য বাংলাদেশের (Bangladesh) পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
শনিবার ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত এক বৈঠকে বাংলাদেশের (Bangladesh) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, ভারত এবং বাংলাদেশের (Bangladesh) মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণ ভারতের সংবাদ মাধ্যম। বৈঠকে তিনি বলেন, ৫ ই অগাস্টের আগে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এক রকম ছিল। আর তারপর থেকে তা বদলে গিয়ে অন্য রকম হয়ে গিয়েছে। বাস্তবতা এটাই। আর এই নিরিখেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন করে তৈরি করতে হবে। আর এই পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়া বজায় রাখতে হবে।
ভারতের প্রতি বার্তা হোসেনের: তৌহিদ হোসেন বলেন, যেকোনো পরিবর্তনই সময়সাপেক্ষ। আর ভারত এই পরিস্থিতিতে নতুন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে তা উপলব্ধি করবে এবং করছেও। ভারত সেই মতোই এগোবে বলে তাঁর প্রত্যাশা, এমনই মন্তব্য করেন তৌহিদ।
আরো পড়ুন : জামাইবাবু ইউনূসের বাংলাদেশে জ্বলছে অশান্তির আগুন! চিন্তায় বর্ধমানে অসুস্থ শ্যালক, জানালেন…..
ভারতীয় মিডিয়াকে দোষারোপ: এরপরেই সরাসরি ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই ভয়ঙ্কর ভাবে লেগে পড়েছে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলি। দুটি দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য ভারতীয় মিডিয়ার এই ভূমিকা মোটেই সহায়ক নয় বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) গণমাধ্যমের উচিত ভারতীয় মিডিয়ায় যে মিথ্যাচার হচ্ছে সেগুলির ফ্যাক্ট চেক করে সত্যটা তুলে ধরা।
আরো পড়ুন : ৩ ডজন মেশিন ১০ দিন ধরে গুনেছিল টাকা! এই সাংসদের বাড়িতে হয় দেশের সবথেকে বড় আয়কর হানা
অন্যদিকে বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন মন্তব্য করেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করাই উচিত কাজ হয়েছে। ধর্মভিত্তিক ভাবে এই ইস্যু দেখার সুযোগ নেই। যে আইন অমান্য করবে তাঁকেই বিচারের আওতায় নিয়ে আসা মৌলিক কাজ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সরকারের ব্যর্থতার দায় ভারতীয় মিডিয়ার উপরে চাপানোর জন্যও ফের সমালোচনা শুরু হয়েছে নেট মাধ্যমে।