বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় পাসপোর্ট (Indian Passport) বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় সবচেয়ে সস্তা এবং বার্ষিক ব্যয়ের দিক থেকে সবচেয়ে সাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এদিকে, সস্তার পাসপোর্টের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর (United Arab Emirates) পাসপোর্ট। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা দেখা গিয়েছে যে, ভারতের পাসপোর্ট বৈধতার জন্য “প্রতি বছর খরচ”-এর পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে সাশ্রয়ী।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৬২ টি দেশে যেতে পারবেন। এই গবেষণাটি করেছে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিষ্ঠান Compare the Market AU। ফার্মটি বিভিন্ন দেশ থেকে পাসপোর্ট পাওয়ার খরচ এবং বৈধতার প্রতি বছরের খরচ-কার্যকারিতা স্টাডি করেছে। এছাড়াও ওই ফার্ম ভিসা-ফ্রি অ্যাক্সেস উপলব্ধ করে এমন দেশের সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ভ্যালুর বিষয়টি বিবেচনা করেছে।
ওই গবেষণায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল পাসপোর্ট হিসেবে দেখা গেছে মেক্সিকোর পাসপোর্ট। যার মূল্য ১০ বছরের জন্য ২৩১.০৫ ডলার। ওই ফার্মের বিবৃতি অনুসারে, ভারতের পাসপোর্ট হল তালিকায় সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সস্তা পাসপোর্ট। যেটির মূল্য ১০ বছরের বৈধতার জন্য ১৮.০৭ ডলার। এদিকে UAE-তে ৫ বছরের বৈধতার জন্য পাসপোর্টের খরচ ১৭.৭০ ডলার। বৈধতার প্রতি বছর খরচের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতে ১.৮১ ডলারের মূল্য যুক্ত সবচেয়ে সস্তা পাসপোর্ট। এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা (৩.০৫ ডলার) এবং কেনিয়া (৩.০৯ ডলার) দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
ভারতীয় পাসপোর্টের ভিসা-ফ্রি অ্যাক্সেস সীমিত: উল্লেখ্য যে, ভারতীয় পাসপোর্টের ভিসা-মুক্ত অ্যাক্সেস তুলনামূলকভাবে সীমিত। এটি অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এবং কানাডার মতো দেশগুলির বিপরীত। কারণ, ওই দেশের পাসপোর্টের দাম বেশি, কিন্তু ভিসা-ফ্রি অ্যাক্সেস বেশি রয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে যে ভ্রমণ বিমা তুলনার বিশেষজ্ঞরা সারা বিশ্বের পাসপোর্ট ফিগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছেন। তাদের মূল্য, মেয়াদের বছর এবং ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে সেগুলির তুলনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুশীলনে এলেন অথচ করলেন না বল! স্টার্ককে নিয়ে শুরু জোর জল্পনা, কি ভাবছে KKR?
উল্লেখ্য যে, পাসপোর্টের গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে, বিদেশে লোকসান, চুরি বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে উদ্ভূত খরচ কমাতে অনেকেই ভ্রমণ বিমা বেছে নেন। এই প্রসঙ্গে কমপেয়ার দ্য মার্কেটের জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের এক্সিকিউটিভ জেনারেল ম্যানেজার অ্যাড্রিয়ান টেলর জানিয়েছেন যে, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ কমাতে ও ভ্রমণের সময় মানসিক শান্তি নিশ্চিত করতে অনেকই ভ্রমণ বিমার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।