বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার প্রথম পর্বে লকডাউনের মধ্যে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। আর এবার দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ (cyclone yash)। আমফান পরবর্তী বাংলার শোচনীয় অবস্থার কথা মাথায় রেখে, রেলের (indian railway) সঙ্গে আলোচনায় সর্তক থাকার বার্তা দিল রাজ্য সরকার।
আবহাওয়া দফতর (weather office) জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শেষেই ২২ শে মে নাগাদ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়ে, শক্তি বাড়িয়ে দিঘা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। তারপর তা আমফানের থেকেও শক্তিশালী হয়ে ২৬-২৭ শে মে নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার পাশাপাশি দিঘা, শঙ্করপুর, জুনপুট, মন্দারমনি, তাজপুর, ওড়িশার বালেশ্বর উপকূল, সুন্দরবন, হিংলগঞ্জ, সন্দেশখালিতে ভারী প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার জেরে আগে থাকতেই সতর্কতা জারী করা হয়েছে, সমুদ্র থেকে ফিরতে বলা হয়েছে মৎস্যজীবীদেরও।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনও ডিআরএম এসপি সিং জানান, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বিপর্যয় সামলানোর জন্য সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগে থাকতে নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। লাইনে ধস নামার দিকে পেট্রোলিংয়ে যুক্ত কর্মীদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নদীর জলস্তর বাড়লে ব্রিজের দিকে খেয়াল রাখার জন্য’।
অন্যদিকে প্রস্তুতি নিচ্ছে হাওড়া (Howrah) ডিভিশনও। ডিআরএম সুমিত নারুলা জানান, ‘ঝড়ের প্রকোপে ওভারেহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায়, ইলেকট্রিক বিভাগের কর্মীদের ২৪ ঘণ্টা কাজে উপস্থিত থাকার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, ‘প্রচণ্ড বৃষ্টির ফলে হাওড়া কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেই কারণে ওই এলাকা থেকে সমস্ত ট্রেন সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সেখান থেকে যাতে বিপত্তি না হয়, তার জন্য বগিগুলোকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হবে। আর কারশেড এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা করার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখার বিষয়টাও দেখা হচ্ছে’।