বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমায় ভাগ্যিস শাহরুখ কাজলের হাত ধরে ট্রেনে উঠিয়ে নিয়েছিল। যদি কাজল সেদিন ট্রেনটা মিস করে যেত তাহলে হয়তো কাজলের নামের সংরক্ষিত টিকিট অন্য কেউ পেত না কিন্তু বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখনকার কাজলরা যদি মিস করে ফেলে তার ট্রেন তাহলে তার সেই সংরক্ষিত টিকিট আর সংরক্ষিত থাকবে না। তার টিকিট পেয়ে যাবেন অন্য কেউ।
হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন। ট্রেন মিস করলে অর্থাৎ ট্রেন যদি আপনার পৌঁছানোর আগেই স্টেশন থেকে সিটি বাজিয়ে চলতে শুরু করে তাহলে আপনি হয়ে যাবেন বিনা টিকিটের যাত্রী। আর আপনার সংরক্ষিত আসন সেই মুহূর্তেই উন্মুক্ত হয়ে যাবে আরএসি (RAC) অর্থাৎ রিজার্ভেশন এগেনস্ট ক্যান্সলেশন এর অন্তর্ভুক্ত অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য। আপনার টিকিট সেই অপেক্ষমান যাত্রীদের একজন নিশ্চিত রূপে লাভ করবেন।
আর এই সমগ্র প্রক্রিয়াটি এখন থেকে করা যাবে খুব সহজে একটি ট্যাবের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই এই টিকিট চেকিংয়ের ট্যাবটি টিকিট পরীক্ষকদের মধ্যে বিলি করা শুরু হয়ে গেছে। আর এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার টিটিই পেয়ে গেছেন টিকিট চেকিংয়ের এই ট্যাবটি এবং খুব শীঘ্রই আরো আঠারো হাজার টিকিট পরীক্ষক পেতে চলেছেন এই ট্যাব।
আগে নিয়ম ছিল সংরক্ষিত আসনের নামের তালিকা সাঁটিয়ে দেওয়া হতো দূরপাল্লার ট্রেনের গায়ে এবং যাত্রীরা সেই তালিকা দেখেই উঠে যেতে পারতেন নির্দিষ্ট ট্রেনের কামরায়।
পরে সেই নিয়মে আসে বদল। নিয়ম বদলে সেই বাইরে সাঁটানো তালিকা চলে আসে টিকিট পরীক্ষকদের হাতে অর্থাৎ এতদিন পর্যন্ত টিকিট পরীক্ষকদের হাতে থাকতো সংরক্ষিত আসন গুলির যাত্রীদের নামের একটি তালিকা কিন্তু সেই নিয়মও এবার উঠে যেতে চলেছে তার বদলে আসতে চলেছে একটি নতুন ডিজিটাল নিয়ম।
একটি ট্যাবের মধ্যে রাখা থাকবে সমস্ত সংরক্ষিত আসনের যাত্রীদের নামের তালিকা। টিকিট পরীক্ষকেরা সেই ট্যাব নিয়ে ট্রেন চলা শুরু হতেই পৌঁছে যাবেন প্রতিটি কামরায় এবং দেখে নেবেন কেউ অনুপস্থিত আছেন কিনা। যদি কোন সংরক্ষিত আসনের যাত্রী অনুপস্থিত থাকে তাহলে তৎক্ষণাৎ সেই আসনটির শূন্য থাকার বার্তা ট্যাবের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে সার্ভার এর কাছে এবং সেই আসনটি উন্মুক্ত হয়ে যাবে অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য। সর্বাগ্রে থাকা অপেক্ষমান যাত্রীটি নিশ্চিত রূপে সেই আসন লাভ করবেন। রেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে নতুন এই ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি অনেকাংশে কমবে এবং যাত্রীদের সফর আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে।