এবার সূর্যকে কাজে লাগিয়েই চলবে পুরো রেলস্টেশন, নতুন পথে হাঁটছে ভারতীয় রেল

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যে নিজেকে কার্বন মুক্ত গড়ার লক্ষ্য নিয়েছে ভারতীয় রেল (Indian Railway)। এবার সেই মহতী পদক্ষেপেই একধাপ এগোল সংস্থা। ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল রেলওয়ের (CR) মুম্বাই ডিভিশন দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে এবং কয়েক লক্ষ টাকার খরচ কমাতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে।

জানা গিয়েছে যে, মুম্বাই ডিভিশনের তিনটি স্টেশন টিটওয়ালা, কাসারা এবং ইগতপুরীসহ স্টেশনগুলির সংলগ্ন এলাকা এখন থেকে সম্পূর্ণ গ্রিন এনার্জির মাধ্যমে শক্তি গ্রহণ করবে। এদিকে, নতুন এই সময়পোযোগী উদ্যোগ ইতিমধ্যেই মুম্বাই বিভাগের বিভিন্ন স্থানে চালু হলেও এটি যে ফের তাতে নতুন পালক জুড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। স্টেশন লাইটিং ছাড়াও সেন্ট্রাল রেলওয়ে এই তিনটি স্টেশনে সোলার প্যানেল, সোলার ট্রি এবং সোলার ওয়াটার কুলারও স্থাপন করেছে।

এই প্রসঙ্গে সেন্ট্রাল রেলওয়ে দ্বারা জারি করা একটি প্রেস রিলিজ অনুসারে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি, রুফ টপ গ্রিড সংযুক্ত ৫ Kwp সোলার প্যানেল ইগতপুরীর মহকুমা হাসপাতালে চালু হয়েছে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, “এই সৌর প্ল্যান্টের বার্ষিক শক্তি উৎপাদন ৬০০০ kWh এবং বার্ষিক সঞ্চয় প্রায় ৪৫ হাজার টাকারও বেশি হবে।”

এছাড়াও, কিছুদিন আগেই ইগতপুরী এবং কাসারা স্টেশন প্ল্যাটফর্মে প্রতিটি ৪০ Kwp ক্ষমতাসম্পন্ন রুফ টপ গ্রিড সংযুক্ত সৌর প্ল্যান্টও চালু করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে, “এই রুফ টপ গ্রিড সংযুক্ত সৌর প্ল্যান্টের বার্ষিক শক্তি উৎপাদন প্রায় ৪৮,০০০ কিলোওয়াট এবং বার্ষিক সাশ্রয় হবে আনুমানিক ৭.২ লক্ষ টাকা।”

এমনকি, ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে যে, “এটি ছাড়াও, রুফ টপ গ্রিড সংযুক্ত ৫ Kwp সোলার প্যানেলটিও সম্প্রতি টিটওয়ালায় চালু করা হয়েছিল। এই গ্রিড সংযুক্ত সোলার প্ল্যান্টের বার্ষিক শক্তি উৎপাদন ৬,০০০ kWh এবং বার্ষিক সঞ্চয় হবে আনুমানিক ৪৫,০০০ টাকা।”

জানা গিয়েছে যে, মুম্বাই ডিভিশনের তরফে CSMT স্টেশন বিল্ডিং, কল্যাণ রেলওয়ে স্কুল, কল্যাণ রেলওয়ে হাসপাতাল, কুরলা এবং সানপাদার গাড়ির শেডগুলিতে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও, লোনাভালা, খান্ডালা, ডকইয়ার্ড রোড, আসানগাঁও, রোহা, আপ্টা, পেন এবং চেম্বুর রেলওয়ে স্টেশনগুলিতেও ১২৫ Kwp-এর বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সোলার প্যানেল লাগানো হয়েছে।

 

SOLAR PANELS 1

সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুম্বাই ডিভিশনের এই ব্যবস্থাগুলি ভারতীয় রেলওয়ের দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যমাত্রার একটি অংশ। পাশাপাশি, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ব্যবহারে ভারতীয় রেলওয়ে জনপ্রিয়তাও অর্জন করছে। এছাড়াও, এগুলি কেবল শক্তি ব্যয়ে সঞ্চয়ই আনবে না, পাশাপাশি রেলওয়েকে একটি সবুজ, নিরাপদ এবং বাসযোগ্য বিশ্ব তৈরি করতেও সক্ষম করবে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর