বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের কাছে যোগাযোগের অন্যতম সুবিধাজনক মাধ্যম হল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। অল্প সময়ে অল্প খরচে ভ্রমণের জন্য ‘রেল’ মাধ্যমের চেয়ে ভালো কিছু হয়না। যদিও দেশের এমন অনেক স্টেশন আছে যা কোনও না কোনও সমস্যার কারণে বন্ধ পড়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে রেল যাত্রীদের জন্য বিরাট খবর নিয়ে এল ভারতীয় রেল। খুব শীঘ্রই একটি রেল স্টেশন উপহার পেতে চলেছেন যাত্রীরা।
সূত্রের খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফের একবার চালু হবে নসিপুর রোড রেলস্টেশন (Nashipur Road Railway Station)। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই স্টেশন চত্বর ঘুরে গেছেন শিয়ালদহ (Sealdah) ডিভিশনের ডিআরএম। যদিও আমাদের আজকের প্রসঙ্গ অন্যকিছু। আজ আমরা জানবো এই স্টেশনের ইতিহাস।
জেনে অবাক হবেন যে, এই স্টেশনটি নির্মাণ করা হয় ১৯২৯ সালে। ব্রিটিশ আমলে বেশ ভালোই গুরুত্ব ছিল স্টেশনটির। যদিও ক্যালেন্ডারের পাতা বদলানোর সাথে সাথে কমতে থাকে স্টেশনের গুরুত্ব। আর একটা সময় তো হারিয়েই যায় মুর্শিদাবাদের এই স্টেশন। যে কারণে স্থানীয়রা একে হারিয়ে যাওয়া রেল স্টেশনেরই তকমা দিয়েছেন।
স্টেশনটির ইতিহাস ঘাঁটলে জান যায়, এর নির্মাণ হয়েছিল ১৯২৯ সালে। পাকুড় ও ঝাড়খণ্ড থেকে পূর্ববঙ্গে পাথর পরিবহনের জন্য চালু করা হয় এই ব্রডগেজ রেলসেতুটি। যদিও এই লাইন দিয়ে কেবল পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করত। নসিপুর রোড স্টেশন দিয়ে সেতু আলাদা হওয়ার কারণে স্টেশনটির নাম দেওয়া হয় ‘নসিপুর সেতু’। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বন্ধ হয়ে যায় সেতুটি।
আরও পড়ুন : রেললাইনের উপর রাখা তাজা বোমা! উপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, আতঙ্ক কাঁকিনাড়ায়
শোনা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং যেহেতু দেশভাগের পর পূর্ববঙ্গে আর পাথর পরিবহনের দরকার পড়েনি তাই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায় সেতুর কাজ। পরবর্তী সময়ে সেতু মেরামতও করা হয়নি। এরপর যখন বারাণসী টু কলকাতা জাতীয় জলপথ তৈরির কাজ চলছিল সেই সময় এই সেতুর পিলার অবধি ভেঙে ফেলা হয়। তারপর থেকেই সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে যায় ব্রিটিশ আমলের এই সেতু।
আরও পড়ুন : LAC-তে চরম পদক্ষেপ ভারতের! আতঙ্কে শান্তির দোহাই দিচ্ছে চিন
এরপর বছর খানেক পূর্বে পুরনো স্টেশন বিল্ডিংটিও ভেঙে ফেলা হয়। স্টেশনটি পুনরায় চালু করার উদ্দেশ্যে বহু আবেদন জমা পড়ে রেলের কাছে। আর এবার ফের একবার নশিপুর স্টেশন চালু করার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে পূর্ব রেল। নব্বইয়ের দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনটি ফের একবার চালু হবে বলে আশাবাদী স্থানীয়রা।