বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে গণপরিবহণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয় রেলপথ (Indian Railways)। এমতাবস্থায়, যাত্রীদের সুবিধার্থে এবং সঠিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে একের পর এক বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে রেল। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অনলাইন টিকিট বুকিং নিরাপদ করার জন্য ভারতীয় রেল একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বড় পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের (Indian Railways):
মূলত, চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ট্রেনের টিকিটে কালোবাজারি রোধ করতে রেল ৩ কোটি ২০ লক্ষ সন্দেহজনক ইউজার আইডি ব্লক করেছে। এখন তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে একটি অ্যান্টি-বট সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। যেটির মাধ্যমে কেবল প্রকৃত যাত্রীরাই টিকিট বুক করতে পারেন। এদিকে, ৩২২ টি ট্রেনে অনলাইন তৎকাল টিকিটের জন্য আধার ভিত্তিক ওটিপি ভেরিফিকেশন চালু করা হয়েছে এবং ২১১ টি ট্রেনের রিজার্ভেশন কাউন্টারেও এই সুবিধাটি কার্যকর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই সরকারি সিদ্ধান্তের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। যার মাধ্যমে ৯৬ টি জনপ্রিয় ট্রেনের মধ্যে ৯৫ শতাংশ ট্রেনে তৎকাল টিকিট সহজলভ্য হওয়ার সময় বৃদ্ধি পেয়েছে। যার অর্থ যাত্রীরা এখন আগের তুলনায় আরও সহজেই কনফার্ম তৎকাল টিকিট পেতে সক্ষম হচ্ছেন। জালিয়াতি এড়াতে, আধিকারিকরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর সতর্ক করেন যে
কনফার্ম টিকিট পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয় এমন ট্রাভেল ওয়েবসাইটগুলিতে বিশ্বাস না করতে। প্রিমিয়াম পরিষেবার নামে কিছু ওয়েবসাইট ৩ গুণ রিফান্ডের মতো স্কিম উপলব্ধ করে। কিন্তু, এই ধরণের অফার ব্যবহার করার সময়ও সতর্ক থাকার আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মমতার জনসভায় সোনার হার খোয়ালেন একাধিক মহিলা! ‘দুষ্কৃতীদের আখড়া’, কটাক্ষ শুভেন্দুর
সাবধানে থাকুন, নিরাপদে থাকুন: উল্লেখ্য যে, ট্রেনের টিকিট বুক করার সময়, সর্বদা IRCTC-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন। পাশাপাশি ও, শুধুমাত্র Google Play Store বা Apple App Store থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন। অন্য কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। এমনকি, আপনি প্রতারণার শিকারও হতে পারেন। যদি, কখনও মনে হয় যে আপনি প্রতারিত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে অবিলম্বে সাইবার ক্রাইম সেলে অভিযোগ করুন।
আরও পড়ুন: অরুণাচল প্রদেশে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! খাদে পড়ল ট্রাক, মৃত ২২ জন পরিযায়ী শ্রমিক
এদিকে, প্রতারকরা গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করার জন্য সস্তা টিকিটের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বার্তা বা ইমেল পাঠায়। এছাড়াও, তারা এমন লিঙ্ক পাঠায় যেগুলিতে ক্লিক করলে, ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে যায়। একবার সেগুলিতে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে ফেললে প্রতারণার ঝুঁকি থাকে। অনেক সময় প্রতারণার জন্য প্রতারকেরা বড় কোম্পানির নামেও ভুয়ো বার্তা পাঠায়। যার ফলে গ্রাহকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আর সেই কারণেই বারংবার তাঁদের সতর্ক করা হয়।












