বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেল (Indian Railways) তার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে রিনিউয়েবল এনার্জি অর্থাৎ পুনর্নবীকরণ যোগ্য শক্তির ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সালের অক্টোবর পর্যন্ত এক্ষেত্রে প্রায় ২১১ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং প্রায় ১০৩ মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।
পাশাপাশি, এই বিষয়ে রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে, কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং আরও টেকসই শক্তির উৎসের জন্য এটি দেশের একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও, প্রায় ২,১৫০ মেগা ওয়াট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির ক্ষমতা সংযুক্ত করা হয়েছে। যা পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎসগুলির দিকে একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।
এই গ্রিন ইনেশিয়েটিভের পাশাপাশি ভারতীয় রেল তার রেলপথগুলির বৈদ্যুতিকরণে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ব্রডগেজ নেটওয়ার্কের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভাবে ৬০,৮১৪ কিলোমিটারের রেলপথে বৈদ্যুতিকরণ ঘটেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১৪ পর্যন্ত এটির পরিমাণ ছিল ২১,৮০১ কিমি। অর্থাৎ, বিগত বছরগুলিতে বৈদ্যুতিকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে।
আরও পড়ুন: ১৯৯২-এর প্রতিজ্ঞা এবার হবে পূরণ! নরেন্দ্র মোদী ও রাম মন্দিরের এই ঘটনা জানলে চমকে যাবেন
রেল ট্র্যাকে এই বৈদ্যুতিকরণের কাজ চন্ডিগড়, ছত্রিশগড়, হরিয়াণা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড মধ্যপ্রদেশ, মেঘালয়, ওড়িশা, পুদুচেরি, তেলেঙ্গানা উত্তর প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে ১০০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাবরের দেশ দিল রামলালার অভিষেকের জল! ইরান থেকে মুসলিম মহিলা, পাক থেকে পাঠালেন সিন্ধিরা
পরিবেশগত দিকের কথা মাথায় রেখে ভারতীয় রেল ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এই গ্রিন ইনেশিয়েটিভের অংশ হিসেবে রেল বেশ কয়েকটি শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রি জেনারেলিটিভ ফিচার সহ থ্রি ফেজ ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ উৎপাদন, হেড অন জেনারেশন (HOG) প্রযুক্তির বাস্তবায়ন, রেলের বিল্ডিংয়ে এবং কোচে LED লাইটের বিপুল ইনস্টলেশনের মতো বিষয়গুলি।