ভারতের ফ্যাব ফোর! গিল, রোহিত, কোহলি ও রাহুলের ব্যাট বিশ্বকাপের আগে চুপ করালো নিন্দুকদের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ বৃষ্টি বিঘ্নিত ভারত বনাম পাকিস্তান (India vs Pakistan) ম্যাচ অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়ে গেল। ভারতীয় ব্যাটিং নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল। ১০ এবং ১১ই সেপ্টেম্বর এটা প্রমাণিত হয়ে গেল যে যদি পিচে বোলারদের জন্য সাহায্য কম থাকে তাহলে এই ভারতীয় দলকে আটকানো প্রায় অসম্ভবের সমান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচ ভারতীয় মিডল অর্ডারের জোর প্রমাণ করেছিল। এদিন মেন ইন ব্লুজ-এর টপ অর্ডারের ক্ষমতা টের পেল ক্রিকেট বিশ্ব।

সুপার ফোরের ম্যাচের প্রথম দিন চলেছিল হিটম্যান এবং গিল শো। পাকিস্তান বোলিংকে পাওয়ার প্লে চলাকালীন ছত্রভঙ্গ করে ফেলেছিলেন তারা। রোহিত শর্মা ৪৯ বলে ৫৬ এবং দিল ৫২ বলে ৫৮ রানের একটি ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। এরপর কাল তারা দুজন ড্রেসিংরুমে ফেরার পর বিরাট কোহলি এবং লোকেশ রাহুল মাঠে এসে ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে নিজেদের ইনিংস গড়ার কাজটা শুরু করেছিলেন।

এরপর বৃষ্টির জন্য কাল আর খেলা শুরু করা যায়নি। এমনকি ১১ ই সেপ্টেম্বর খেলা শুরু করতেও দেরি হয়েছে। ফের ২২ গজে এসে প্রথম দিকে কিছুটা সময় নিলেও ধীরে ধীরে লোকেশ রাহুল এবং বিরাট কোহলি বুঝিয়ে দিতে থাকেন যে তাদের লক্ষ্য টা কি। এমনিতেই পাকিস্তান ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে হ্যারিস রাউফকে পায়নি। তার জায়গায় বোলিং করতে আসা পার্ট টাইমারদের দুজনেই হাত খুলে আক্রমণ করেন।

শেষদিকে আর বোলারদের নাম দেখে নয়, শুধুমাত্র বল দেখে আক্রমণ করছিলেন রাহুল এবং কোহলি দুজনেই। দুজনেই দুর্ধর্ষ ভঙ্গিতে নিজেদের শতরাং সম্পূর্ণ করেন। পাকিস্তানের কাঁধে চাপিয়ে দেন ৩৫৭ রানের টার্গেট। অনেকেই বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করছিল। ভারতের টপ ফোর এদিন যেন তাদের জবাব দিল।

আরও পড়ুন: ১৩,০০০ রান ও ৪৭ তম ODI শতরান! রেকর্ড গড়ে পাকিস্তান বোলিংকে ধ্বংস করলেন কোহলি

বহুদিন পর এমনটা দেখা গেল যে ভারতের টপ অর্ডারের প্রত্যেকে এভাবে একই সাথে জ্বলে উঠলেন। রোহিত শর্মা নিজের ৩০০ তম ওডিআই ম্যাচটা ব্যাট হাতে স্মরণীয় করে রাখলেন। শুভমান গিল দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে ওডিআই ফরম্যাট ১৫০০ রানের গণ্ডি স্পর্শ করলেন। বিরাট কোহলি ১৩,০০০ ওডিআই রানের গণ্ডি ছোঁয়ার পাশাপাশি ৪৭ তম ওডিআই শতরান পেলেন। লোকেশ রাহুল দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরে শতরান করে নিজেকে ভারতের মিডল অর্ডারে অপরিহার্য প্রমাণ করলেন।