বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্ব জুড়ে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো আততায়ী ব্যক্তি কেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (Ex PM of Japan) শিনজো আবেকে (Shinzo Abe) হত্যা করল। জানা যাচ্ছে, ব্যক্তি তিন বছর জাপানের নৌবাহিনীতে (Japanese Navy) কর্মরত ছিল। তার পরই তার চাকরি যায়। বন্ধ ছিল পেনশনও। বেকারত্ব এবং দারিদ্রের যন্ত্রণার জন্য দায়ি ভাবতেন শিনজোকে। তাই তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় যুবকরাও অপরাধের পথ বেছে নেবে
এই পুরো ঘটনাকে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (AITUC) ‘অগ্নিপথের’ (Agnipath Scheme) সঙ্গে তুলনা করে। সবুজ শিবির তাদের মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ (Jago Bangla) লেখে, ‘জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে নারা শহরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হত্যাকারীর নাম তেতসুয়া ইয়ামাগামি। তার বয়স ৪১ বছর।’
এরপরই এই ঘটনার সঙ্গে অগ্নিপথ প্রকল্পের তুলনা টানা হয়। জাগো বাংলায় লেখা হয়, ‘জাপান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অগ্নিপথ প্রকল্পের অদ্ভুত মিল। মোদি সরকার চার বছরের জন্য তরুণদের সেনাতে ভর্তি করতে চায়। ঠিক যেমন তেতসুয়ার তিন বছর চাকরি চলে গিয়েছিল। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পেনশনও। তেমনই অগ্নিপথ প্রকল্পেও চার বছর পর চলে যাবে চাকরি। তেতসুয়ার মতো ভারতীয় যুবকরাও মানসিক অবসাদে (Mental Depression) ভুগবে। অপরাধের পথ বেছে নেবে।
তরুণ প্রজন্মকে দিশেহারা করছে তৃণমূল
তৃণমূলের পর সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসও অগ্নিপথের তুলনা জাপানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে করে। দুই পার্টিই বলে, জাপানের হত্যাকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিক মোদি সরকার (Modi Government)। অন্যদিকে বিজেপি জাবাব দেয়, ‘শিনজো আবের দুঃখজনক মৃত্যুকে নিয়েও রাজনীতি করছে বিরোধীরা। তৃণমূল নিজে চাকরি দিতে পারে না, উল্টে তরুণ প্রজন্মকে দিশেহারা করছে তারা।’