বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের (India) প্রথম ডেডিকেটেড ফাস্ট রেলওয়ে ট্রায়াল ট্র্যাক তৈরি হচ্ছে রাজস্থানের (Rajasthan) ডিডওয়ানা জেলায়। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানির ট্র্যাকের আদলে তৈরি হচ্ছে এই ট্র্যাক। শুধু তাই নয়, এই ট্র্যাকটি নির্মাণের সাথে সাথে, ভারত আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী রোলিং স্টকের জন্য ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধা যুক্ত প্রথম দেশ হয়ে উঠবে। এই ট্র্যাকে হাই-স্পিড, বন্দে ভারত এবং রেগুলার ট্রেন ট্রায়াল সহ বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হবে। নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের (NWR) CPRO এই তথ্য জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, ডিডওয়ানা জেলায় নির্মিত রেলওয়ে ট্রায়াল ট্র্যাকটি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুত হবে।
উল্লেখ্য যে, রাজস্থানের ডিডওয়ানা জেলার নাভা সিটি রেল স্টেশনের কাছে ভারতের প্রথম রেলওয়ে টেস্ট ট্র্যাকের নির্মাণ কাজ চলছে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রেলের CPRO ক্যাপ্টেন শশী কিরণ জানিয়েছেন, “এই ট্র্যাকটি নির্মাণের ফলে আমাদের দেশ রেলওয়ে সেক্টরে আন্তর্জাতিক স্তরের পরীক্ষার সুবিধা দিতে সক্ষম হবে।” তিনি আরও জানান, এই ট্রায়াল ট্র্যাকটি উত্তর-পশ্চিম রেলের যোধপুর বিভাগ তৈরি করছে। ট্র্যাকটি প্রায় ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। পর্যায়ক্রমে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। এই ডেডিকেটেড টেস্ট (ট্রায়াল) ট্র্যাক ২০২৪-এর অক্টোবরের মধ্যে প্রস্তুত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যেটি তৈরিতে খরচ হবে আনুমানিক ৮১৯.৯০ কোটি টাকা।
মূলত, রেলের প্রযুক্তিগত চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে একমাত্র গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (RDSO) দ্বারা হাই-স্পিড ট্রেন টেস্ট ট্র্যাক তৈরি করা হচ্ছে। এটি যোধপুর বিভাগের গুধা-থাথানা মিথরি থেকে নাওয়ান রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
৫০ শতাংশ কাজ শেষ: CPRO ক্যাপ্টেন শশী জানান, রেল ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। টেস্ট ট্র্যাক নির্মাণের ৫০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণটি দু’টি পর্যায়ে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ধাপটিতে হবে ২৫ কিলোমিটারের কাজ। সবথেকে বিশেষ বিষয় হল, এর জন্য বড় ব্রিজের পাশাপাশি ৩৪ টি ছোট পুলও নির্মাণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বড়সড় কিছু প্ল্যান! মহাকাশে স্পেস বিমানের সাহায্যে রহস্যময় ছয় বস্তু পাঠাল চিন, চিন্তায় গোটা বিশ্ব
এদিকে, এই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে, রেল ওয়ার্কশপ সহ পরীক্ষাগার এবং বাসস্থান নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে। জানিয়ে রাখি যে, হাই-স্পিড ডেডিকেটেড রেলওয়ে ট্র্যাকে ২৩ কিমি দীর্ঘ মেইন লাইন, গুড়াতে ১৩ কিমি দীর্ঘ হাই-স্পিড লুপ, নাওয়ানেতে ৩ কিমির দ্রুত টেস্টিং লুপ এবং মিথরিতে ২০ কিমির কার্ভ টেস্টিং লুপ থাকবে।
আরও পড়ুন: বড় খবর! শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমেই কেন্দ্রীয় সংস্থায় চাকরির সুযোগ, এভাবে করুন আবেদন
ট্রায়াল ট্র্যাকে কোন ট্রেনগুলি পরীক্ষা করা হবে: জানা গিয়েছে, এই ট্র্যাকে হাই-স্পিড, বন্দে ভারত এবং রেগুলার ট্রেনের ট্রায়াল সহ বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা করা হবে। এই পরীক্ষা ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালিত হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। এটি লোকোমোটিভ, কোচ এবং হাই-অ্যাক্সেল লোড ওয়াগন পরীক্ষা করার জন্যও ব্যবহার করা হবে। এমতাবস্থায়, এই ট্র্যাক নির্মাণের ফলে ভারতে দুরন্ত এবং হাই-স্পিড ট্রেনগুলির আরও অগ্রগতি ঘটবে। যা প্রত্যক্ষভাবে ভারতীয় রেলকেও এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।