বড় খবর! এই রুটে এই দিন থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন, প্রকাশ্যে এল দিনক্ষণ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত এবং গতিশীল করে তুলতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সেই রেশ বজায় রেখেই এবার একটি চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতীয় রেলের (Indian Railways) প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেন হরিয়াণার জিন্দ জেলা থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে চলাচল শুরু করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই উত্তর রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার শোভন চৌধুরী গত ২২ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার হরিয়াণার জিন্দ জেলায় পরিদর্শনে গিয়ে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়াও, জিন্দ জেলায় দেশের প্রথম হাইড্রোজেন প্ল্যান্টও সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই জিন্দ রেলওয়ে জংশনের কাছে থাকা এই প্ল্যান্টটি ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে এবং সম্ভবত ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এটি সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হাইড্রোজেন ট্রেনে ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ব্যবহার করা হয়। এই সেলগুলি হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনকে একত্র করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। যা ট্রেনের মোটরগুলিকে শক্তি দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত বিদ্যুৎ তৈরি করে। পাশাপাশি, উপজাত দ্রব্যগুলির মধ্যে জল এবং সামান্য তাপ রয়েছে।

এদিকে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল হাইড্রোজেন ট্রেনগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড বা পার্টিকুলেট ম্যাটারের মতো ক্ষতিকারক দূষণকারী পদার্থ নির্গত করে না। আর এই কারণেই ডিজেলে চলা ট্রেনগুলির তুলনায় এগুলি অনেকটাই পরিবেশবান্ধব।

whatsapp image 2023 06 24 at 7.37.01 pm

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, উত্তর রেলওয়ে চলতি অর্থবর্ষে জিন্দ-সোনিপাত সেকশনের মধ্যে আটটি বগির হাইড্রোজেন জ্বালানি-ভিত্তিক ট্রেনের প্রথম প্রোটোটাইপ চালু করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এটি দেশের জন্য একটি যুগান্তকারী প্রকল্প হবে। কারণ বর্তমানে ট্রেনগুলি ডিজেল এবং বিদ্যুতে চলে। এমতাবস্থায়, হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের প্রবর্তন শুধুমাত্র কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে দেবে না বরং একটি সবুজ ভবিষ্যতের পথও প্রশস্ত করবে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর