এবার আইটি পার্ক তৈরি হবে কার্শিয়াংয়ে! এক ধাক্কায় মিলবে হাজার হাজার কর্মসংস্থান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার আইটি পার্ক তৈরি হতে চলেছে কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ে আইটি পার্কের শিলান্যাস হয়ে গেল গত মঙ্গলবার। এই আইটি পার্কে মোট ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে ৪৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জিটিএ-কে ২৮ কোটি টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জিটিএ চিফ অনীত থাপার আশা বাকি টাকাও দ্রুত সরকার তাদের দেবে।

জানা যাচ্ছে এই আইটি পার্ক তৈরি হয়ে যাবে আগামী দুবছরের মধ্যে। জিটিএ চিফ আশাবাদী এই আইটি পার্ক চালু হলে কার্শিয়াং মহকুমায় নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এই আইটি পার্কটি তৈরি হবে কার্শিয়াং পলিটেকনিক কলেজের পাশে। রাজ্য সরকারের ওয়েবেল এই পার্ক তৈরি থেকে পরিচালনার দায়িত্ব সামলাবে।

আরোও পড়ুন : জেলের ভিতরেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ছেন মহিলা বন্দিরা! এবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এল কড়া নির্দেশ

অনীত থাপা বলেছেন,  ‘আইটি পার্কের শিলান্যাস কার্শিয়াংয়ের জন্য ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা প্রায় এক দশক ধরে কার্শিয়াংয়ে একটি কর্মসংস্থান নির্ভর শিল্প চাইছি। অবশেষে কাজ শুরু হলো। আমূল বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কার্শিয়াংয়ের।’ Webel বর্তমানে গোটা রাজ্যে ৩৩ টি আইটি সেন্টার চালাচ্ছে।

আরোও পড়ুন : মাধ্যমিকের প্রশ্নফাঁসের ‘অ্যাডমিন’ গ্রেপ্তার! মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের এক গৃহশিক্ষকের কীর্তি অবাক করবে

এরমধ্যে তিনটি আইটি সেন্টার অবস্থিত শিলিগুড়িতে। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার যুবক-যুবতীর। এখানে চাকরি করেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দারা। এই আইটি পার্ককে কেন্দ্র করে ক্রমশ শহরের চেহারা নিচ্ছে মাটিগাড়া। জিটিএ চিফ অবশ্য কার্শিয়াংয়ে আইটি পার্ক তৈরি করেই ক্ষান্ত থাকতে রাজি নন।

img 20181104 123035 1024x768

 

ওয়েবেলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্বরূপ ব্রহ্ম জানান, ‘কার্শিয়াংয়ে আইটি শিল্পের সম্ভাবনা কেমন, তার একটি উদাহরণ দিলেই হবে। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় আমাদের তিনটি সেন্টারেই এখন নতুন কোনও উদ্যোগীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যাঁরা সুযোগ পাচ্ছেন না, তাঁদের জন্য কার্শিয়াং একটা নতুন অপশন হিসাবে উঠে আসবে। কার্শিয়াংয়েও প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।’

 

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর