বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতীয় নৌবাহিনী আগামী ৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে আরেকটি শক্তিশালী জাহাজকে কমিশন করতে চলেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, বিশাখাপত্তনম নৌঘাঁটিতে ওই নতুন যুদ্ধজাহাজ কমিশন করা হবে। ওই অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজের নাম হল অ্যান্ড্রোথ (INS Androth)। এটি হবে অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার শ্যালো ওয়াটার ক্রাফট (ASW-SWC) সিরিজের দ্বিতীয় জাহাজ। এমতাবস্থায়, ওই অনুষ্ঠানে পূর্ব নৌ কমান্ডের প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেন্ধারকর উপস্থিত থাকবেন বলেও জানা গিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে INS অ্যান্ড্রোথ (INS Androth):
ভারতে তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ: উল্লেখ্য যে, কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (GRSE) দ্বারা নির্মিত একটি আধুনিক যুদ্ধজাহাজ হল INS অ্যান্ড্রোথ (INS Androth)। এই যুদ্ধজাহাজের ৮০ শতাংশেরও বেশি উপাদান ভারতে তৈরি। যেটি আত্মনির্ভর ভারতের একটি ভালো উদাহরণ।
জাহাজটির নামকরণ: মূলত, লাক্ষাদ্বীপের অ্যান্ড্রোথ দ্বীপের নামে জাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে। পূর্বে, নৌবাহিনীর INS অ্যান্ড্রোথ (P69) নামে একটি জাহাজ ছিল। ওই যুদ্ধজাহাজ দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে দেশের সেবা করেছে। নতুন অ্যান্ড্রোথ (INS Androth) যুদ্ধজাহাজটি সেই ঐতিহ্য বহন করবে।
আরও পড়ুন: রয়েছে গুরুতর অভিযোগ! ক্রিকেট থেকে আমেরিকাকে নির্বাসিত করল ICC
INS অ্যান্ড্রোথ কী কী কাজ সম্পাদন করবে: জানিয়ে রাখি যে, এই জাহাজটি আধুনিক অস্ত্র এবং সেন্সর দ্বারা সজ্জিত। এই যুদ্ধজাহাজ (INS Androth) শত্রু সাবমেরিন শনাক্ত এবং ধ্বংস করতে পারে। এর পাশাপাশি, সামুদ্রিক নজরদারি থেকে শুরু করে উপকূলীয় নিরাপত্তা, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের মতো কাজও সম্পাদন করবে এই যুদ্ধজাহাজ।
আরও পড়ুন: এবার অস্ট্রেলিয়ায় দাপট বৈভব সূর্যবংশীর! গড়লেন দুর্ধর্ষ রেকর্ড, অবাক গোটা ক্রিকেটবিশ্ব
ভারতের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ: অ্যান্ড্রোথের (INS Androth) আগমন ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি আরও বৃদ্ধি করবে। এটি দেশের সামুদ্রিক সীমানা আরও শক্তিশালী করবে এবং ভারতের নিজস্ব যুদ্ধজাহাজ তৈরির ক্ষমতাকেও প্রদর্শন করবে। এর আগে গত ৮ মে আর্নালা হস্তান্তর করা হয়েছিল। এবার, ভারতের দীর্ঘ উপকূলরেখার কারণে, একটি নতুন ASW-SWC যুদ্ধজাহাজ সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,নাভারতীয় উপকূলরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি কৌশলগত দ্বীপ রয়েছে। এমতাবস্থায়, এই যুদ্ধজাহাজ সামুদ্রিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে এবং নৌঘাঁটি ও বন্দরের কাছাকাছি জলতলে থাকা প্রতিকূল হুমকি প্রতিরোধে সহায়তা করবে। এর ফলে দ্বীপের ভূখণ্ডে টহল দেওয়া সম্ভব হবে এবং বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জাহাজের রুটগুলিও সুরক্ষিত থাকবে।