বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসি আসি করে অবশেষে রাজ্যে এসেছে বর্ষা (Wet Season)। সারাদিন মুখ ভার আকাশের। মাঝেমধ্যে ঝমঝমিয়ে নামছে বৃষ্টি। আর বর্ষা মানেই ইলিশের (Ilish) আগমন। কেবলমাত্র এই একটি কারণের জন্যই বর্ষা বিশেষ পছন্দ বাঙ্গালীদের। তবে বর্ষায় মনটা ইলিশ ইলিশ করলেও এখন বাজারে বিকোচ্ছে গত মরশুমের বাসি হিমঘরের মাছ। আর তাই ইলিশ ভুলতে বাঙালিরা পাতে তুলে নিচ্ছেন পমফ্রেট (Pomfret)।
চলতি বছর সময়ের চাইতে অনেকটাই দেরিতে এসেছে বর্ষা। এখনও টাটকা ইলিশ এসে পৌঁছায়নি রাজ্যে। ইলিশ খেতে গেলে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ভোজনরসিক বাঙ্গালীদের। তবে এতে কিন্তু বর্ষা বোধনে কোন বাধা পড়ছে না। চড়া দামে হিমঘরের ইলিশ না কিনে অপেক্ষাকৃত সস্তায় টাটকা পমফ্রেটে ঝুঁকছেন কলকাতা সহ বাংলার মানুষ।
সারা বছরই কলকাতায় পাওয়া যায় পমফ্রেট মাছ। তবে বর্ষাকালে বাড়ে এই মাছের কদর। সারাবছর মোটামুটি ১০০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রামের পমফ্রেট মাছের দাম বাজারে থাকে ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। গত মাসেও মোটামুটি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে পমফ্রেট মাছ। তবে বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছে। ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ গ্রাম ওজনের পমফ্রেট মাছ। অন্যদিকে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের ওজনের পমফ্রেট মাছের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি।
গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট সহ মানিকতলা বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে পমফ্রেট মাছ। যদিও মাছের আকারের ওপর নির্ভর করে ঠিক হচ্ছে দাম। তবে বর্তমানে বাঙালি ভোজন রসিকদের অবস্থা অনেকটা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতন। অর্থাৎ বর্ষাকাল আসলেও পাতে উঠছে না ইলিশ আর তাই ভরসা রাখতে হচ্ছে পমফ্রেটে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ‘ইলিশ মাছ বাজারে সেভাবে না থাকায় অনেকেই পমফ্রেট মাছ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনেকটাই বেড়েছে এই মাছের চাহিদা। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে যে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে তা গত মরশুমের তাই অনেকেই তা কিনতে চাইছেন না’।