বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের বেরেলির বাসিন্দা শাবানা ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ধর্মে দীক্ষিত হয়ে বিয়ে করেছেন তার প্রেমিক অরবিন্দকে। ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগ করার পর শাবানা তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন শিবানী। বেরেলির মধ্যনাথে অগস্ত্য মুনি আশ্রমে হিন্দু রীতি অনুযায়ী সাত পাক করে শিবানী বিয়ে করেন অরবিন্দকে।
শুদ্ধিকরণের পর পণ্ডিত কে কে শঙ্খধর মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয় শিবানী ও অরবিন্দর। অরবিন্দর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নিজের অতীত ধর্ম ইসলাম সম্পর্কে বেশ খোলামেলা কথা বলেন শিবানী। শিবানী বলেছেন, ইসলাম ধর্মে নারীকে সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে মনে করা হয়।
আরোও পড়ুন : গান্ধী পরিবারে নতুন সদস্য, মা সোনিয়াকে চরম সারপ্রাইস দিলেন রাহুল
জানা গিয়েছে, তার মাও সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা গেছেন। আট ভাই-বোনের মধ্যে তিনি একমাত্র কন্যা সন্তান ছিলেন তার মায়ের। ২১ বছর বয়সী শিবানী আরো বলেন, তিন তালাক, বহুবিবাহ, বোরকা, হিজাব, হালালার মতো ইসলামের অংশগুলি অত্যন্ত খারাপ দিক। হিন্দু ধর্মে এমন কোনো বিধি নেই। হিন্দু ধর্মে সম্মান পায় নারীরা।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগে মোদি সরকারের বড় উপহার! ঘরোয়া সিলিন্ডারের দাম আরো কমে হল ৬২৯ টাকা
শিবানী জানিয়েছেন তিনি ছোট থেকেই হিন্দু ধর্মের অনুরাগী ও ভগবান শিবের ভক্ত। শিবানির বাবা-মা দুজনেই প্রয়াত হয়েছেন। বছরখানেক আগে তার সাথে পরিচয় হয় অরবিন্দর। এরপর তারা একে অপরের সাথে সম্পর্কে আসেন। শিবানী জানিয়েছেন তার প্রেমিককে মোটেও পছন্দ ছিল না পরিবারের।
অরবিন্দের সাথে সম্পর্কের কথা জানতে পেরে শিবানীর ভাইরা তাকে বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু কনে প্রথম থেকেই তার সিদ্ধান্তে স্থির ছিলেন। তবে এই বিয়ে নিয়ে আপত্তি ছিল না অরবিন্দর পরিবারের। প্রসঙ্গত, অরবিন্দের বাড়ি কৈরুয়া গ্রামে। দুই গ্রামের মধ্যে দূরত্ব মাত্র এক কিমি।