ইরান ও আমেরিকার অতি খারাপ সম্পর্কের কারণে পুরো বিশ্বের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি লাগাতার ভয়ানক হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা এয়ার স্ট্রাইক করে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসিম সুলেমানিকে হত্যা করেছিল। আর এখন তার পাল্টা আক্রমন করে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে থাকা আমেরিকান দূতাবাসে রকেট দাগা হয়েছে। বাগদাদের গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের অভ্যন্তরে কাত্যুশা রকেট আক্রমণ করা হয়েছে। এই আক্রমণে কতজন নিহত হয়েছে তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। ইরাকি রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনে মার্কিন দূতাবাসের ভিতরে ইরান এই রকেট হামলা চালিয়েছে।
They attacked us, & we hit back. If they attack again, which I would strongly advise them not to do, we will hit them harder than they have ever been hit before! https://t.co/qI5RfWsSCH
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 5, 2020
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, মার্কিন সুরক্ষা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিও এই রকেট হামলার কবলে পড়েছে। এই হামলার পরেই বড়ো সংখ্যায় আমেরিকান বিমানগুলিকে বাগদাদে আকাশে উড়তে দেখা গেছে। সূত্রের খবর, মধ্য ইরাকের বালাদ এয়ারফোর্স ঘাঁটিতে রকেট স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। এটি মার্কিন সুরক্ষা বাহিনীর সামরিক ঘাঁটি। আমেরিকান দূতাবাসও এর কবলে পড়েছে।
আমেরিকা এয়ার স্ট্রাইক করে ক্যামান্ডর সুলেমানিকে হত্যা করেছিল। যারপর থেকে ইরান বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আমেরিকার এয়ার স্ট্রাইকের কারণে ইরানের প্রায় ৮ জন উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিকরা নিহত হয়েছিল। এরপর থেকেই আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে প্রায় যুদ্ধের পরিস্থিতি উৎপন্ন হয়। অনেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা পর্যন্ত করেছিল। ইরানের পাল্টা স্ট্রাইকের দরুন সেই আশঙ্কা আরো তীব্র হতে শুরু হয়েছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন সেনা ইরানের ৫২ টি টার্গেট চিহ্নিত করে নিয়েছে। যদি ইরান আমেরিকার কোনো জীবন হানি বা সম্পত্তি নষ্ট করে তবে আমেরিকা একশন নেবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন আমেরিকা খুবই বিধ্বংসক আক্রমন করবে।