বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হতেই বেসুরো দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)! একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দল যদি কোনও নির্দিষ্ট দায়িত্ব না দেয় তাহলে রাজনীতিকে ‘টাটা বাই বাই’ করে দেবেন। তবে এবার শোনা যাচ্ছে, দিলীপের এই ঘোষণার পর বিজেপির তরফ থেকে তাঁকে ‘পদ’ না দেওয়া হলেও ‘কাজ’ দেওয়া হয়েছে। এরপর কি তাহলে পদ-ও পেতে চলেছেন তিনি? শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
দিলীপকে (Dilip Ghosh) কোন পদে বসাতে চলেছে বিজেপি?
সাম্প্রতিক অতীতে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি একাধিক কর্মসূচি দিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাতেই খুশি দিলীপ অনুগামীরা। ‘দাদা’ পদে ফিরতে চলেছেন, আশা তাঁদের। এখনও অবধি এই নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা হয়নি। মেদিনীপুরের প্রাক্তন সাংসদকে কোন পদ দেওয়া হতে পারে সেই নিয়েও কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর অনুগামীদের আশা, তাঁকে নিয়ে কোনও ‘সম্মানজনক’ ঘোষণাই করা হবে।
লোকসভা ভোটের পর দিলীপকে নিজের মতো করেই নানান কর্মসূচি করছিলেন। নানান জেলায় সফরও করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে এবার দলের তরফ থেকে নানান ‘কাজ’ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। চলতি মাসে বিজেপির (BJP) রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের দিন উপস্থিত ছিলেন দিলীপ। সেখানে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসেবে মঞ্চে বসার সুযোগ পান। তাঁর নাম ঘোষণা হতেই হাততালি শুরু হয়, দিলীপের নাম নিয়ে শুরু হয় স্লোগান। দুঁদে এই রাজনীতিক মঞ্চ থেকে নামতেই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ রেশন দুর্নীতি মামলায় অ্যাকশনে ED! স্ক্যানারে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ এই ‘রাঘব বোয়াল’! তুমুল শোরগোল
সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে দলের হয়ে ‘বিস্তারক’এর কাজ করেছিলেন, এমন প্রায় ১৫০ জন কর্মীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির ছিলেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। এছাড়া রাজ্য কর্মসমিতির বৈঠকের পর জেলা কর্মসমিতির বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেখানে যে কোনও একজন রাজ্য নেতা প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হন। বিষ্ণুপুর, মথুরাপুর, মেদিনীপুর এবং যাদবপুরে রাজ্য দলের তরফ থেকে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে পাঠানো হয়।
‘ঘোষ’ ঘনিষ্ঠ নেতারা এই প্রসঙ্গে বলছেন, দিল্লির পরামর্শেই সাংগঠনিক কাজে দিলীপকে এত বেশি করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই জন্যই মনে করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে হয়তো তাঁকে কোনও পদ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। লোকসভা ভোটের পর সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার পর রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু সেই সময় তিনি সর্বসমক্ষে দলের সমালোচনা করে বসেন! এরপর পাল্টে যায় সমীকরণ।
গত কিছু সময় ধরে অবশ্য ‘সরব’ দিলীপকে (Dilip Ghosh) খানিক ‘নীরব’ দেখা দিয়েছে। দলের নির্দেশ অনুযায়ী নানান বৈঠকে গিয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গেই সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একের পর এক পোস্ট করে রাজ্যের শাসকদলকে একহাতও নিয়েছেন। তাহলে কি সত্যিই শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে কোনও বার্তা পেয়েছেন তিনি? আপাতত তা জানতে কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে।