‘সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য DA থেকেই কি দেওয়া হচ্ছে লক্ষীর ভান্ডার’, রাজ্যকে খোঁচা শুভেন্দুর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফের ‘লক্ষীর ভান্ডার’ নিয়ে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। চার বছর ধরে ডিএ পাচ্ছেন না সরকারি কর্মচারী ও অবসারপ্রাপ্তরা, এই টাকা দিয়েই কি দেওয়া হচ্ছে ‘লক্ষীর ভান্ডার’র অর্থ- এমন প্রশ্নও তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

শুধুমাত্র প্রশ্ন তুলেই ক্ষান্ত হননি বিজেপি বিধায়ক, ট্যুইটারে অঙ্ক কষে বিষয়টা বুঝিয়েও দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ‘বাংলায় সরকারি কর্মচারীরা যেরকম বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন, তা দেশের অন্য কোন রাজ্যে দেখা যায়নি। এমনকি অতীতে এমনটা কোনদিন হয়নি’।

Bengal Security of father and brother of Suvendu Adhikari increased

শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, গ্রুপ ডি কর্মচারীদের বেতনের অঙ্ক এবং বকেয়া ডিএ-র পরিমাণ উল্লেখ করে একটি অঙ্ক কষে দেখালেন তিনি। যেখানে তিনি দেখিয়েছেন, গ্রুপ ডি কর্মীদের বেতন ১৭ হাজার টাকা এবং বকেয়া মহার্ঘভাতা রয়েছে ২৮ শতাংশ। হিসেব মতন প্রতিমাসে মহার্ঘভাতা বাবদ চার হাজার ৭৬০ টাকা পাচ্ছেন না তাঁরা। যেটা বছরে জমে দাঁড়াচ্ছে ৫৭ হাজার ১২০ টাকা।

শুভেন্দু অধিকারীর হিসেবে, উচ্চপদস্থ কর্মীদের বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আর তাহলে এই টাকা থেকেই কি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’র অর্থ আসছে?

প্রসঙ্গত, বাংলার ক্ষমতায় তৃতীয়বার আসার পরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্টস ক্রেডি কার্ড চালু করে রাজ্য সরকার। আর এই প্রকল্প চালু করার পর পরই একাধিক জেলার প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘এখন নতুন করে কিছু চাইবেন না আর। রোজই ভাবতে হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্টস ক্রেডি কার্ডের অর্থ কোথা থেকে আসবে?’ আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই এমন প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর