বাংলাহান্ট ডেস্ক: দর্শকই লক্ষ্মী। তাই তাদের মন জুগিয়ে চলার চেষ্টা সবসময়ই করেন চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং সিরিয়াল (Serial) নির্মাতারা। কোন ধরণের গল্প দর্শকদের মনে ধরবে তা নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা। কিন্তু দেড় বছর আগে একটি সিরিয়াল বাঙালি দর্শকের মনকে নাড়া দিতে সক্ষম হয়েছিল। এতই সফল হয়েছে সেই সিরিয়াল যা এতদিন পরেও বাংলা সেরা হয়ে চলেছে বারবার। কথা হচ্ছে ‘মিঠাই’কে (Mithai) নিয়ে।
বাঙালি বরাবরই মিষ্টিপ্রেমী। তাই বাংলার জনপ্রিয় মিষ্টি নিয়ে তৈরি সিরিয়াল যে হিট করবে তা জানাই ছিল। কিন্তু আরো অনেকগুলি কারণে মিঠাই ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলা সিরিয়াল জগতে। ভিন্ন ধারার গল্প, নিত্য নতুন চমক তো রয়েছেই, যে কলাকুশলীদের জন্য মিঠাই আজো বাংলা সেরা তাঁদের পরিশ্রমকে অস্বীকার করলে চলবেই না।
কোনো সিরিয়ালই চিরস্থায়ী নয়। তাছাড়া আগের মতো একটা মেগা চার-পাঁচ বছর ধরে টানার দিনও চলে গিয়েছে। খুব বেশি হলে তিন-চার বছর চলে এখন কিছু সিরিয়াল। তার মধ্যেই নতুনদের চাপে আর টিআরপি কমায় বিদায় নেয় এক সময়কার জনপ্রিয় সিরিয়ালও।
মিঠাইয়ের বয়স ইতিমধ্যেই দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবুও এখনো পর্যন্ত নাগাড়ে প্রথম স্থান দখল করে আসছে মোদক পরিবার। কিছুদিন আগে যদিও গুজব রটেছিল, মিঠাইও শেষ হওয়ার পথে। আসলে খলনায়ক ওমি আগরওয়ালের গুলিতে মিঠাই কোমায় চলে যাওয়ায় এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। সে সময়ে অবশ্য সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃত রায় বলেছিলেন, এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। মিঠাই চলছে চলবে।
তারপরেও আরো অনেক বিপদ কাটিয়ে অবশেষে একটু সুখের মুখ দেখেছে মোদক পরিবার। এর মধ্যেই আদৃতের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নতুন করে মিঠাই শেষের জল্পনা উসকে দিয়েছে। পর্দার রাজীব, রাতুল এবং রুদ্রর সঙ্গে আড্ডার ফাঁকে তোলা একটি ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সঙ্গে কেকের জনপ্রিয় গান ‘পল’ এর দু লাইন, যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘আমরা কাল থাকি বা না থাকি, এই মুহূর্তগুলো মনে থেকে যাবে’।
কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘তোমরা চিরকাল থাকবে, নো আগামীকাল আর গতকাল। চিরকাল এইভাবেই আমাদের সাথে, আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে, আমাদের অনুপ্রেরণা হয়ে’। আরেকজন লিখেছেন, ‘হাজার মন খারাপের মধ্যেও ২০ মিনিট সময়টুকু অন্যরকম ভালো থাকার,আর সেটা অবশ্যই মিঠাই এর সাথে। এই একটি সিরিয়াল বছরের পর বছর চলতে থাকুক।’ যদিও সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্যই করেননি আদৃত বা মিঠাই পরিবারের অন্য সদস্যরা।