Ghibli-র আড়ালে লুকিয়ে ‘মরণফাঁদ’? আপনার অজান্তেই চুরি হয়ে যাচ্ছে ছবি?

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় পা রাখলেই পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে ‘অ্যানিমে’র দুনিয়ায়। বাস্তব জগৎ থেকে মুখ ফিরিয়ে সকলেই এখন নিজেদের ‘জিবলি’ (Ghibli Image) অবতার বানাতে ব্যস্ত। হায়াও মিয়াজাকির ‘জিবলি স্টুডিও’ এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌলতে চলে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। ওপেন এআই এর চ্যাটজিপিটি ৪.০ তেই আপাতত মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে তারকা থেকে সাধারণ মানুষ। কিন্তু আনন্দের আড়ালে কি কোথাও থেকে যাচ্ছে তথ্য ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা? আপনার অজান্তেই আপনার ছবি অন্য কোনো সংস্থার কাছে পাচার হয়ে যাচ্ছে না তো চ্যাটজিপিটির মারফতে?

জিবলি (Ghibli Image) ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদ

এআই সংস্থাগুলি সাধারণত মুখের ত্রিমাত্রিক ছবি বা থ্রিডি স্ক্যান করে সঞ্চয় করে রেখে দেয় তথ্য। আমরা তা জানতেও পারি না। তবে শুধু যে জিবলি (Ghibli Image) বানাতে গিয়েই আমরা মুখের ছবি শেয়ার করছি, তা কিন্তু নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ট্যাগ করার জন্য, ফোন আনলক করার সময়েও ফেস রেকগনিকশন প্রয়োজন হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ছবি পোস্ট করার সময়, এই ধরণের অ্যাপ গুলিতে ফোন ক্যামেরার অ্যাক্সেস দেওয়ার মাধ্যমে অজান্তেই আমরা নিজেদের বড় বিপদ ডেকে আনছি।

Is your data leaking while making ghibli image

তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয়: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রেডিট কার্ড বা জরুরি পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে যাওয়ার থেকেও ফেস রেকগনিকশন তথ্য ফাঁস হওয়া অনেক বেশি বিপজ্জনক। কারণ। অন্য ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড নম্বর বা পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা সম্ভব। কিন্তু মানুষের মুখ (Ghibli Image) তো বদলে ফেলা যায় না। আর তাই এই সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে তা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

আরো পড়ুন : রাতারাতি চ্যানেল বদল, “বস” হয়ে নতুন শোতে সৌরভ! ‘দাদাগিরি’র সঞ্চালক পরিবর্তন?

আগেও চুরি হয়েছে তথ্য: এর আগে এই কারণেই বিতর্কে জড়িয়েছিল ক্রিয়ারভিউ এআই। সোশ্যাল মিডিয়া, খবরের চ্যানেল থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন ছবির ডেটাবেস কারোর অজান্তেই সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছিল এই সংস্থার বিরুদ্ধে। আর সেগুলি বিক্রি করা হচ্ছিল বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং পুলিশের কাছে। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, এই ছবি (Ghibli Image), তথ্য চুরি করে কীভাবে হচ্ছে অর্থ উপার্জন?

আরো পড়ুন : রাতারাতি নাম বদল উত্তরাখণ্ডের ১৫ টি জায়গার! কারণ সামনে আনলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী

রিপোর্ট বলছে, ফেসিয়াল রেকগনিকশন টেকনোলজির বাজারমূল্য কার্যত লাফিয়ে বাড়ছে। ২০২৫ সালে এর মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫.৭৩ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০৩১ সালের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে ১৪.৫৫ বিলিয়ন ডলারে। যদিও জানা যাচ্ছে, গ্রাহকের ছবি দেখিয়ে গুগল এবং মেটার এআই মডেলগুলিকে ট্রেনিং দেওয়া হয় ঠিকই, তবে এই তথ্যগুলি অন্যত্র বিক্রি করে না তারা।

Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর

X