বাংলাহান্ট ডেস্ক : মক্কেশ্বর মহাদেব বিতর্কের পর আবারও নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন পুরির শংকরাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। খ্রিস্টান (Christian) ধর্মের ‘ঈসা ও মুসা’কে বানিয়ে দিলেন হিন্দু। এবং তাঁরা নাকি ১০ বছর পুরিতেও কাটিয়েছেন। এমনই সব দাবি করে আবরও সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। যার জেরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।
বিতর্কিত মন্তব্য করে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন পুরির শংকরাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ। এদিন তিনি সরি দাবি করেন, খ্রিস্টধর্মে বর্ণিত যিশু খ্রিস্ট আদতে নাকি হিন্দু। এবং তাঁরা বৈষ্ণবপন্থী। জীবনের ১০ টি বছর তাঁরা নাকি ভারতেই কাটিয়েছেন। এর মধ্যে ৩ বছর তাঁরা পুরিতে কাটান। তৎকালীন পুরির শংকরাচার্যের সঙ্গেও তাঁদের যোগাযোগ ছিল। এমনকি বিদেশে তিলক পরা যিশু খ্রিস্টের মূর্তিও নাকি দেখেছেন তিনি। যদিও স্বামী নিশ্চলানন্দের এই বিতর্কিত মন্তব্যকে কেউই সমর্থন করেন নি বলেই জানা যাচ্ছে।
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। সম্প্রতি রাজস্থানের একটি শহরে আয়োজিত হয় হিন্দু রাষ্ট্র নিয়ে আলোচনাসভা। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দও। সেখানে তিনি বলেন, ‘কেবল জ্ঞানবাপী নিয়ে আলোচনা করলে হবে না। এ বার আমাদের মক্কা নিয়েও কথা বলা উচিত। সেখানে মক্কেশ্বর মহাদেবের মন্দির রয়েছে।’
অবশ্য এখানেই থেমে থাকেন নি নিশ্চলানন্দ। তিনি আরও দাবি করেন, ভারত নিজেকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের আরও অন্তত ১৫টি দেশ নিজেদের হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করবে। কোন কোন সেই দেশগুলি? পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দের দাবি— নেপাল, মরিশাস নিজেদের ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণায় রাজি।’