দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থার নামে কি চলছে সেটার উপর একটা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি উঠছে। কারণ এই যে, কিছু মিশনারি দ্বারা পরিচালিত স্কুলে ইংরাজি শিক্ষার নামে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি অনুগত করার কাজ চলছে। আবার কিছু স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের মনে ভারতের সংস্কৃতির প্রতি ঘৃনাভাব ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। উত্তর প্রদেশের পিলিভিতে হিন্দু বাচ্চাদের জোর করে ইসলামী নামাজ পড়ার একটি ঘটনা সামনে এসেছে। আশ্চর্যের বিষয়, এই অভিযোগ ঘিয়াসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের উপর উঠেছে। প্রধান শিক্ষকের নাম ফুরকান আলী। বলা হচ্ছে যে কিছুদিন আগে এই বিদ্যালয়ে মাদ্রাসার নামাজ পড়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
যার পরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের কর্মীরা এসডিএমের কাছে অভিযোগ করে। হিন্দু সংগঠনের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এখন এসডিএম পুরো বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব ব্লক শিক্ষা অফিসার উপেন্দ্র বিশ্বকর্মার হাতে দিয়েছে। তবে ফুরকান আলীর মতে, তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ নকল। তার মতে সরস্বতী বন্দনা তাদের স্কুলেও করা হয়, তবে যেহেতু বিদ্যালয়ের 90% শিশু মুসলমান, তাই তাদের অনুরোধে ইসলামের প্রার্থনা করা হয়। ফুরকান আলী বলেছেন, স্কুলে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের ছাত্র পড়াশোনা করতে এসে।
তাই সরস্বতী বন্দনা ও ইসলামিক নামাজ দুটোই করানো হয়। উনি আরো বলেন, আমার কথা না শুনে এক তরফা তদন্ত করা হচ্ছে। লক্ষণীয় যে ফুরকান আলীর উক্ত বক্তব্যের পরে বিভাগের কর্মকর্তাদের ভূমিকা সন্দেহের মধ্যে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে যে, কর্মকর্তারা যখন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে যেতেন, তখন কেন এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসেনি? বজরং দল ও বাকি হিন্দুবাদী সংগঠনগুলির সক্রিয়তার জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
স্কুলে ইসলামিক প্রার্থনা করতে গিয়ে হিন্দু ছাত্র ছাত্রীদের খুব অসুবিধা হতো। তাই তারা সেটা বাড়িতে জানায়। যারপর অভিভাবকরা সচেতনার সাথে বিষয়টির উপর লক্ষ করেন। অভিভাবকরা স্কুলে পৌঁছে এটি নিয়ে আপত্তি জানালে কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগ উপেক্ষা করে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হ’ল বিদ্যালয়ের কাছেই ব্লক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়, যেখানে তারা তাদের বিভাগীয় কাজ করে। তবুও তিনি মাদ্রাসার নামাজ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।