বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব (TMC Inner Clash)। এবার পুলিশের সামনেই শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। চললো দেদার বোমাবাজি। বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারাল এক সিভিক ভল্য়ান্টিয়ার (Civic Volunteer)। বুধবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে ইসলামপুরের (Islampur) দক্ষিণ মাটিকুন্ডা গ্রামে।
কী জানা যাচ্ছে? গতকাল তৃণমূলের এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলামপুরের বিধায়ক বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী ব্লকের মাটিকুন্ডা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। মৃত সিভিক ভল্য়ান্টিয়ারের ভাই আবদুল জানান তিনি করিম চৌধুরীর অনুগামী। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সিভিক ভল্য়ান্টিয়ার সাকিব আখতারের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
অন্যদিকে, গোটা এই ঘটনার পেছনে জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল গোষ্ঠীর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, এদিন ডিউটি শেষ করে রাতে বাড়িতে খাবার খাচ্ছিল মৃত সাকিব আখতার। সেইসময় মাটিকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দলবল নিয়ে ঘরে ঢুকে বোমাবাজি করে।
ঘটনার জেরে মাথায় বোমা লাগে সিভিক ভল্য়ান্টিয়ারের। এরপরেই তার মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, প্রধান তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালালের অনুগামী। অন্যদিকে, সাকিবের ভাই শাহনাওয়াজ বিধায়ক করিম চৌধুরীর অনুগামী। বহুদিন ধরেই এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। এই বিবাদের জেরেই এদিন এদিন হঠাৎ সাকিবের বাড়িতে চড়াও হন প্রধানের লোকজন।
উল্লেখ্য, সাকিরের ভাই রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও নিহত সাকিব কোনও দলের সঙ্গে জড়িত ছিল না। জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যা থেকেই সংঘর্ষের দরুন সকিবের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। অভিযোগ পুলিশের সামনেই বাড়িতে ঢুকে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার পর থানায় গিয়ে তৃণমূল সভাপতি কানইয়ালালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। তার কথায়, “গোটা সংগঠনটা ও (কানইয়ালাল) হাতে নিয়ে নিয়েছে খুনখারাপি করার জন্য। মানুষ, পুলিশ সবাই ভয়ে রয়েছে। এসপিকে বললাম, ইস্তফা দিন। এগারো বারের বিধায়ক আমি আর জেলা সভাপতি বলছে আমার কোনও দাম নেই! ” পাশাপাশি তার দাবি, ২ দিনের মধ্যে যদি এই খুনের বিরুদ্ধে ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।