বাংলা হান্ট ডেস্ক : সফলভাবে চন্দ্রযান উৎক্ষেপনের পর ISRO-র পরবর্তী নজর যে সৌর অভিযানের দিকে, সে কথা সকলেই জানেন। তবে এই মুহূর্তে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় ব্যস্ত ইসরো গবেষকরা। আর এবার খবর, ইসরোর সাথে হাত মিলিয়েছে ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC)। এই দুই সংস্থার উদ্দেশ্য, রকেটের জন্য নিউক্লিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন তৈরি করা।
সূত্রের খবর , ISRO এবং BARC যৌথভাবে রেডিও থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর তৈরির কাজে হাত দিয়েছে। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রোজেক্টটি শেষ করতে চাইছে তারা। জানা যাচ্ছে, ইঞ্জিনটিতে মোট দুটি অংশ থাকছে। যার একটি ভাগ তাপ জেনারেট করবে এবং অপর ভাগটি সেই তাপকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করবে।
জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই নাসার কাছে নিউক্লিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন রকেট রয়েছে। পরমাণু বিখণ্ডন রিয়্যাকটক বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারলেও পরমাণু ইঞ্জিন তা পারেনা। ইঞ্জিনের মধ্যে থাকে রেডিও থার্মো ইলেকট্রিক জেনারেটর বা প্লুটোনিয়াম ২৩৮। এদের পুড়িয়েই হিট তৈরি করা হয়। এখন ভারত এই প্রোজেক্টে সফল হলে মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন দিশা খুলে যাবে দেশের সামনে।
এদিকে সূর্য অভিযানের কথা বললে, আদিত্য L1 কে নিয়ে জল্পনা চলছে অনেকদিন ধরেই। ২০২৪ নাগাদ এই স্যাটেলাইট লঞ্চ করার চেষ্টায় রয়েছে ইসরো। কিছু কিছু মিডিয়ার দাবি, চলতি বছরের ২৬ আগস্ট এই স্যাটেলাইট লঞ্চ করা হবে। যদিও ইসরোর তরফ থেকে কোন অফিসিয়াল অ্যানাউন্সমেন্ট এখনও আসেনি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এই অভিযানের ক্ষেত্রেও পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলকে হাতিয়ার করা হবে।
মূলত সৌরজগতের আরো খুঁটিনাটি জানার জন্যই ইসরোর এই অভিযান। এদিকে চন্দ্রযান-ও সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে স্যাটেলাইটটি। আগামি ২৩ বা ২৪ অগাস্ট নাগাদ সেটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতীর্ণ হবে বলে খবর। লক্ষ্য, চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধ।
এর আগেও ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল। তবে দূর্ভাগ্যবশত সেবার ব্যর্থ হতে হয় ইসরোকে। সফট ল্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়নি ল্যান্ডার বিক্রম। আর তাই এই তৃতীয় অভিযান। পূর্বের ভুলত্রুটি শুধরে নতুনভাবে প্রয়াস করেছে ইসরো। এই প্রচেষ্টা সফল হলে ভারতই হবে প্রথম সেই দেশ, যে চাঁদের দক্ষিণ গোলার্ধে পা রাখবে।