বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের সবাইকে চমকে দিয়ে নয়া নজির গড়ে ফেলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ISRO। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ISRO তার ৩০০ MN (Millinewton) “Stationary Plasma Thruster”-এ ১,০০০ ঘন্টা লাইফটাইম টেস্টের সফল সমাপ্তির ঘোষণা করেছে।
বিরাট সাফল্য ISRO-র:
এদিকে, এই থ্রাস্টারটি স্যাটেলাইটের বৈদ্যুতিক প্রোপালশন সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, এটিও প্রস্তাব করা হয়েছে যে স্পেস এজেন্সির ভবিষ্যত উপগ্রহগুলিতে রাসায়নিক প্রোপালশন সিস্টেমের পরিবর্তে বৈদ্যুতিক প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। যেটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের জন্য পথ প্রশস্ত করবে। যেগুলি কক্ষপথের উন্নতি সহ অন্যান্য কাজের জন্য শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক প্রোপালশন সিস্টেম ব্যবহার করবে।
ISRO achieves major breakthrough in Semicryogenic Engine development
ISRO has achieved a major breakthrough in the Semicryogenic development programme with the first successful hot test of the intermediate configuration of the 2000kN Semicryogenic engine, designated as Power…
— ISRO (@isro) March 28, 2025
ISRO জানিয়েছে যে, এই থ্রাস্টারগুলির সংযোজনের ফলে বিপুল সাশ্রয় ঘটবে। এর পাশাপাশি, কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটে “ট্রান্সপন্ডার” ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ISRO আরও জানিয়েছে যে, এই থ্রাস্টারগুলিতে রাসায়নিক উপাদান “জেনন” প্রপেল্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামনবমীতে ইডেনে হবেনা KKR ম্যাচ! পরিবর্তিত সূচি সামনে এনে কী জানাল BCCI?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, স্পেস প্রপালশন সিস্টেমের একটি মূল কর্মক্ষমতা নির্দেশক অর্থাৎ “বৈদ্যুতিক প্রোপালশন সিস্টেম”-এর নির্দিষ্ট প্রবণতা প্রচলিত প্রোপালশন সিস্টেমের তুলনায় কমপক্ষে ৬ গুণ বেশি। ISRO-র মতে, “এই পরীক্ষাটি ৫.৪ কিলোওয়াটের সম্পূর্ণ শক্তি স্তরে একটি চেম্বারে পরিচালিত হয়েছিল। যা মহাকাশের অবস্থার অধীনে কাজ করে।”
আরও পড়ুন: এই গ্রীষ্মে চিনকে স্বস্তি দিল ভারত, নেওয়া হচ্ছে বড় পদক্ষেপ, ব্যাপারটা কী?
এদিকে, ওই সময়ের মধ্যে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর “ইলেক্ট্রোড লাইনার”-এর ক্ষয় নিরীক্ষণ করা হয়েছিল।ISRO জানিয়েছে, “স্যাটেলাইটে অন্তর্ভুক্তির আগে থ্রাস্টারগুলির নির্ভরযোগ্যতা এবং দৃঢ়তা প্রদর্শনের জন্য এই পরীক্ষাটি একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।”