বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সকলের। এমনকি পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক হয়ে গিয়েছে যে বিভিন্ন জায়গায় জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও । দেশের একাধিক অংশে এই বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত, বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) জেরেই বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। যার ফল ভুগতে হচ্ছে সবাইকে। এমনকি, প্রভাবিত হচ্ছে হিমালয়ের (Himalaya) অঞ্চলও। বর্তমান প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপিত করা হল।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘ সময়ের উপগ্রহ মানচিত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, ২০১৬-১৭ সালে হিমালয় অঞ্চলে অন্তত ১০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট ২,৪৩১ টি গ্লেসিয়াল লেক বা হিমবাহ গলা জল থেকে তৈরি হয়েছে। এদিকে, ১৯৮৪ থেকেই মোট ৬৭৬ টি গ্লেসিয়াল লেকের আয়তন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মধ্যে ১৩০ টি লেক রয়েছে ভারতের। এমনকি, গঙ্গা নদী অববাহিকাতেই রয়েছে ৭ টি লেক। ইতিমধ্যেই ISRO-র তরফে এই বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে।
জানিয়ে রাখি যে, ওই ৬৭৬ টি গ্লেসিয়াল লেকের মধ্যে আয়তন দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬০১ টির। এদিকে, বিশ্ব জলবায়ু সংস্থার মতে, গত বছর জুড়ে বিশ্বে সবথেকে বেশি পরিবেশগত বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে এশিয়াবাসী। তার মধ্যে ভারতের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। কারণ, সামগ্রিকভাবে ভারতের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আর এই বিষয়টিতেই চিন্তা বৃদ্ধি পেয়েছে বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়, এর ফলেই তীব্র গরম থেকে শুরু করে খরার মতো সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আরও পড়ুন: ভরা জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে সংজ্ঞাহীন নীতিন গড়করি, পড়ে গেলেন মঞ্চেই, এখন কেমন আছেন মন্ত্রী?
এদিকে, ISRO আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে। মূলত, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, হিমালয় অঞ্চলে প্রায় শতাধিক হিমবাহ দ্রুতহারে গলে যাচ্ছে। আর সেই কারণেই প্রত্যক্ষভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে হ্রদের আয়তন। যেটি ডেকে আনছে বড়সড় বিপর্যয়কে। অন্তত এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দল বাছলেন শেহবাগ! স্থান পেলেন না হার্দিক, ভরসা রাখলেন কার ওপর?
জানা গিয়েছে যে, ১৯৮৪ কাল থেকে এই প্রবণতা শুরু হলেও সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় হিমবাহ গলা জল হ্রদের দু’কুল ছাপিয়ে বন্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। এমতাবস্থায়, হিমালয় অঞ্চলে ১০ হেক্টরের চেয়েও বড় হ্রদগুলির প্রতি চারটির মধ্যে একটির আয়তন ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।