বিগত ৫ বছরে ১৯ টি দেশের ১৭৭ টি বিদেশি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছে ISRO! হয়েছে বিপুল অঙ্কের আয়ও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একবার বিরাট সাফল্যের পরিসংখ্যান উঠে এল ISRO (Indian Space Research Organisation)-র। জানা গিয়েছে বিগত পাঁচ বছরে একাধিক বিদেশি উপগ্রহের সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে এই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। পাশাপাশি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই বাণিজ্যিক স্যাটেলাইটগুলি উৎক্ষেপণ করে ISRO বিপুল অঙ্কের আয়ও করেছে।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় পরমাণু শক্তি ও মহাকাশ প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Dr. Jitendra Singh) সংসদে জানিয়েছেন যে গত পাঁচ বছরে, ISRO ১৯ টি দেশের ১৭৭ টি উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। পাশাপাশি, এই বাণিজ্যিক লঞ্চগুলি থেকে ISRO ১,১০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই তথ্য জানিয়েছেন।

   

১৯ টি দেশের ১৭৭ টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে ISRO: পাশাপাশি তিনি আরও জানান যে, ISRO ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২-এর নভেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণের সাহায্যে ১৯ টি দেশের ১৭৭ টি উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এমতাবস্থায়, বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে ISRO-র জন্য এটি একটি বড় পদক্ষেপ। এদিকে, ওই ১৯ টি দেশের মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, কলম্বিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইজরায়েল, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ISRO-র আয় হয়েছে ১,১০০ কোটি টাকা: পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, বিদেশি উপগ্রহের উৎক্ষেপণ থেকে ISRO ওই সময়ে প্রায় ১,১০০ কোটি আয় করেছে। এছাড়াও, এই বছরের জুলাইয়ে জারি করা একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে ISRO জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট মহাকাশ সংস্থাটি তার সমস্ত পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) মিশনের মাধ্যমে বিদেশি উপগ্রহ উৎক্ষেপণ থেকে প্রায় ১,৮৫০ কোটি আয় করেছে।

isro mission

ISRO-র ঐতিহাসিক সাফল্য: চলতি বছরের শুরুতে, ISRO LVM-3-এর একটি একক মিশনে ৩৬ টি OneWeb উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো, স্কাইরুট অ্যারোস্পেস নামের এক ভারতীয় কোম্পানি ISRO-র হাত ধরেই গত ১৮ নভেম্বর, ২০২২-এ একটি ব্যক্তিগতভাবে তৈরি রকেট লঞ্চ করে করে। এই অভিযানে “Vikram S”-রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর