ব্যয় করে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা! তারপরে কী আদৌ কোন লাভ হয় ISRO’র? অবশেষে ফাঁস হল গোপন তথ্য

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহাকাশ গবেষণায় ক্রমশ একের পর এক মাইলস্টোন স্পর্শ করছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। বিশ্বের তাবড় তাবড় মহাকাশ সংস্থাগুলির সাথে প্রতিযোগিতা আকাশচুম্বী সাফল্য পেয়ে মহাকাশ গবেষণার মানচিত্রে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন।

Two rockets will be sent into space for the Chandrayaan-4 mission

 

চন্দ্র অভিযান, মঙ্গল অভিযানে আশাতীত সাফল্য পেয়ে এখন ইসরোর পরিকল্পনা মহাকাশে মানুষ পাঠানো। সরকারের তরফেও বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করা হচ্ছে দেশের মহাকাশ গবেষণায়। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এই বিপুল বিনিয়োগ থেকে কি আদৌ ইসরোর কাছে ফেরত আসে কিছু?

ISRO’র তরফে এবার প্রকাশ্যে এল সেই তথ্যই

ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সাথে কর্নাটকের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের কথাবার্তায় উঠে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। এস সোমনাথ বলেন, “চাঁদে অভিযানের খরচ অনেক। আমরা শুধুমাত্র সরকারের সাহায্যের ওপর নির্ভর করতে পারি না। আমাদের ব্যবসার সুযোগও দেখতে হয়। যদি গবেষণা চালিয়ে যেতে হয়, তাহলে তার ব্যবহারও বাড়াতে হবে। নাহলে সরকার সব বন্ধ করে দেবে।”

আরোও পড়ুন : রয়েছে ৫১ কোটি টাকা! নিলামে কোন কোন খেলোয়াড়ের দিকে নজর দেবে KKR? চলে এল বড় আপডেট

এই প্রসঙ্গে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেন যেখানে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বিনিয়োগ ও রিটার্নের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ন্যাশনাল স্পেস ডে-তে স্পেস মিনিস্টার জিতেন্দ্র সিং জানান, ভারতের জিডিপিতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৬০০০ কোটি ডলার অবদান রয়েছে স্পেস সংস্থার।

National Science Award

রিপোর্টে  উল্লেখ করা হয়েছে, স্পেস গবেষণায় (Space Research) বিনিয়োগের ২.৫৪ গুণ রিটার্ন হিসাবে আসছে। সোজা কথায়, ১ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখান থেকে রিটার্ন আসছে প্রায় ২.৫ টাকা। স্পেস সেক্টর (Space Sector) থেকে রেভিনিউয়ের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে ভারতের (India) অবস্থান অষ্টম।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর