একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহের সফল লঞ্চ, ভারতের নাম উজ্বল করে গোটা বিশ্বকে তাক লাগাল ISRO

বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (Indian Space Research Organisation, ISRO) সবচেয়ে ভারী রকেট LVM3-M2/OneWeb India-1-কে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। যেটির মাধ্যমে ৩৬ টি ব্রডব্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়। এমতাবস্থায়, ঠিক ছিল যে চলতি বছরের শুরুর মধ্যে আরও ৩৬ টি উপগ্রহ পাঠানো হবে।

কিছুদিন আগেই জানানো হয় যে, এই সংক্রান্ত পরবর্তী লঞ্চ সম্পন্ন হবে ২৬ মার্চ অর্থাৎ রবিবার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, রবিবার ফের একসঙ্গে ৩৬টি উপগ্রহকে মহাকাশে প্রেরণ করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সেই সঙ্গে তৈরি হল নয়া নজিরও। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, রবিবার সকাল ৯ টায় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হল LVM3 রকেট। শুধু তাই নয়, ওই রকেটই মহাশূন্যে পৌঁছে দেবে ৩৬টি উপগ্রহকে।

   

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ব্রিটিশ স্টার্ট-আপ সংস্থা OneWeb-এর ৩৬টি স্যাটেলাইটকে পাঠানো হচ্ছে। এদিকে, ভারতী এন্টারপ্রাইজ অর্থাৎ এয়ারটেল কোম্পানি এই সংস্থার শেয়ারহোল্ডার। ইতিমধ্যেই ভারতী এয়ারটেল ভারত সহ আরও একাধিক দেশে ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য OneWeb-এ প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। এমতাবস্থায়, এই মিশনটির নাম দেওয়া হয়েছিল LVM3-M3/OneWeb India- 2 Mission।

জানিয়ে রাখি যে, LVM3 রকেটের দৈর্ঘ্য হল ৪৩.৫ মিটার। পাশাপাশি, এটির ওজন ৬৪৩ টন। রকেটটি মোট তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত রয়েছে। ১৫০ কেজির উপগ্রহগুলিকে ১২টি বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, প্রতিটি বিমানের সঙ্গে অন্যটির দূরত্ব ছিল ৪ কিমি। তবে, এই নির্দিষ্ট দূরত্বের পেছনে কারণও ছিল। কোনোভাবেই বিমানগুলির মধ্যে যাতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেটি নিশ্চিত করতেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।

whatsapp image 2023 03 26 at 1.38.42 pm

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক সফল উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করে বিরল নজির তৈরি করেছে ISRO। এই আবহেই এবার ফের চন্দ্র অভিযানের পরিকল্পনা করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এমতাবস্থায়, সব ঠিক থাকলে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন মাসে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩। এই বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন ISRO-র প্রধান ড. এস সোমনাথ।

ad2
Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর