বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে নাকি একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে, সমীক্ষার তৃতীয় দিনে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে আদালতের মনিটর সার্ভে শেষে All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) বলেন, শিবলিঙ্গ হিসেবে অনুমান করা হলেও বস্তুটি কেবল ফোয়ারা মাত্র। শুধু তাই নয়, তিনি আরও বলেন,” এটি কোন শিবলিঙ্গ নয়, একটি ফোয়ারা, সমস্ত মসজিদেই দেখা যায়।” তাহলে কোর্টের কমিশনার কেনো পাল্টা যুক্তি স্থাপন করলেন না বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার কথায়, এভাবে স্থানটিকে সিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ১৯৯১ অ্যাক্ট ” প্লেস অফ ওয়ার্শিপ” এর সুস্পষ্ট অবমাননা।
মসজিদকে ঘিরে বিতর্ক বাড়তে থাকায় কাশি বিশ্বনাথ মন্দির – জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা করার অনুমতি দেয় আদালত। তিনদিন ব্যাপী চলা সার্ভের শেষ দিনে মসজিদে একটি কুয়োর মধ্যে শিবলিঙ্গ থাকার দাবি করা হয়। এরপর শষে বারাণসী আদালত সরাসরি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কে আদেশ দেন স্থানটিকে তৎক্ষণাৎ ‘সিল’ করার জন্যে, এবং সাধারণ মানুষকে ‘শিবলিঙ্গ’ থেকে দূরেই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি সিআরপিএফ মোতায়ন করা হয়েছে স্থানটিতে।
ইতিমধ্যে, ৫ জন মহিলা মামলা দায়ের করেছেন শৃঙ্গার গৌরী মন্দিরে তাদের নিত্য পুজো বিঘ্নিত হওয়ার জন্যে। যেহেতু মন্দিরটি মসজিদের প্রাঙ্গণেই অবস্থিত, তাই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে তাদেরও। যদিও, এই সম্পূর্ণ বিষয়টায় ক্ষিপ্ত হায়দ্রাবাদের সংসদ। তার কথায়, “এই সমীক্ষার তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত কমিশনার যখন রিপোর্ট জমাই দেননি, যেখানে মুসলমানদের পাশে দাড়ানোর মতো কেউ নেই, সেখানে আদালত কিভাবে আদেশ দিতে পারে, শিবলিঙ্গ আবিষ্কার হওয়ার ভিত্তিহীন যুক্তির বিচারে স্থানটিকে বন্ধ রাখার”।
ওয়াইসি আরও বলেন, ‘সমীক্ষার দায়িত্বে থাকা কমিশনার যখন রিপোর্ট জমা দেননি এবং মুসলিমদের রক্ষা করার মতো কেউ ছিল না, তখন আদালত কীভাবে আদেশ দিতে পারে যে একটি ‘শিবলিঙ্গ’ পাওয়া গিয়েছে? এটি ১৯৯১ সালের আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটা মসজিদের প্রকৃতি ও চরিত্র পরিবর্তন করছে। জ্ঞানবাপী মসজিদে ওজুখানায় শুধু একটি ফোয়ারা আছে।”