কেঁচো খুঁড়তে কেউটে! যাদবপুর কাণ্ডে প্রাক্তন ও বর্তমান মিলিয়ে গ্রেফতার আরও ৬ পড়ুয়া

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুরের (Jadavpur University) বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে (JU Student Death) তোলপাড় রাজ্য। গত বুধবার ৯ আগস্ট গভীর রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের নীচ থেকে নগ্ন ও অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায় বাংলা বিভাগের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুকে। তারপরেই যাদবপুরের প্রাক্তনি সৌরভ চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই পুলিশের খাতায় নাম উঠে আসে দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষের নাম। আর এবার তাদের সূত্র ধরে গ্রেফতার আরও ৬।

এইমুহুর্তে স্বপ্নদীপের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সবে মিলিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জন। স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পরেই জানা গিয়েছিল এই দুর্ঘটনার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর। প্রথমেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই একে একে উঠে আসে বাকি ৮ জনের নাম। ঘটনার দিন রাতে ধৃত সাত জনের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল বলে এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছে পুলিশ। বুধবারই নতুন ৬ জনকে আদালতে তুলে পুলিশ হেফাজতে পাওয়ার চেষ্টা করবে কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম, মহম্মদ আসিফ, মহম্মদ আরিফ, অঙ্কন সরকার, অসিত সর্দার। আরো দুই জনের নাম এখনও জানা যায়নি। এই ৬ জনের মধ্যে ৩ জন প্রাক্তনি এবং ৩ জন বর্তমান পড়ুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনার দিন ও তার পরে ওই ৬ জনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও আরিফ ও সৌরভের ফোন থেকে বাড়িতে ফোন করেছিল স্বপ্নদীপ। এবং বাকিরাও ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিল।

 আরও পড়ুন : চাঁদের অরবিটেও ট্রাফিক জ্যাম! শুধু চন্দ্রযান-৩ই নয়, অবতরণের জন্য লাইনে আছে অনেকেই

জানা যাচ্ছে আজকেই এই ৬ জনকে আদালতে পেশ করে কাস্টাডি চাইবে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে নতুন কোনও নাম উঠে আসে কি না, সেটাই দেখার। এছাড়াও বুধবার দুপুর ৩টেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায় এবং রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান। ইতিমধ্যেই ডিন অফ স্টুডেন্টসকে দু’‌বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন : স্বাধীনতা দিবসে ওলার বড় চমক! ৮০ হাজার টাকায় লঞ্চ হল ই-স্কুটার

এদিকে একটার পর একটা বিষ্ফোরক সব তথ্য সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই একটি ডায়রির পাতা এবং মেসেঞ্জার চ্যাট বক্স ওপেন হয়েছে পুলিশের সামনে। যেখান থেকে একাধিক সব চাঞ্চল্যকর তথ্য খুঁজে পেয়েছে তদন্তকারী দল। সেখান থেকেই প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মেন হস্টেলে অন্তত ২০ জন প্রাক্তনী থাকতেন। তারাই নানা অকাজে জড়িত বলে অভিযোগ। নাকের ডগায় এসব ঘটছিল অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুই টের পাননি? কেন এত উদাসীন ছিল কর্তৃপক্ষ?

আরও পড়ুন : Vi-র ধামাকাদার অফার, 50GB ডেটার সঙ্গে ১ বছরের রিচার্জ ফ্রি! এইভাবে নিন সুবিধা

jadavpur university students opens up about how the faced ragging in name of intro 768x438

যাদবপুর ফ্যাকাল্টিদের পাশাপাশি প্রশ্নের মুখে ইউজিসি-ও। ইউজিসির নির্দেশিকায় হস্টেলে সিসি ক্য়ামেরা লাগানোর কথা বলা হলেও যাদবপুর হস্টেল ক্য়াম্পাসে সিসি ক্যামেরা নেই কেন? তারা নিজেরা কেন তদন্তে এলেন না? প্রশ্ন তো উঠছেই। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ধৃত তিনজনের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মোবাইলও ঘেঁটে দেখছে পুলিশ। প্রত্যেকের মোবাইল ফোন থেকেই কিছু না কিছু সূত্র পাওয়া যাবে বলে অনুমান করছে লালবাজার পুলিশ।

ad

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর