‘কলেজ আমার দ্বিতীয় বাড়ি, এখানে নেশা করাটা আমার অধিকার!’, দাবি যাদবপুরের পড়ুয়ার, নিন্দা সর্বত্র

বাংলা হান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় গোটা রাজ্য আলোড়িত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে প্রকাশ্যে আসছে ক্যাম্পাসের ভিতরের ভয়ংকর ছবি। বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদ-বিয়ারের বোতল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতর দেদার মাদক সেবনের অভিযোগও উঠেছে। এই নিয়ে আলোচনার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া।

কী বলছেন ওই পড়ুয়া? শ্রীজাতা বাগচি নামে ওই পড়ুয়া একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজকে কলা বিভাগ ছাত্র সংসদের সদস্য হিসেবে দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য শুনে অনেকেই রীতিমতো চমকে উঠেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিয়ারের বোতল পাওয়া নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। এমন নয়, যাঁরা মদ ছোঁয় না। তাঁরা নিজেদের নিজদের বাড়িতে বসে মদ্যপান করেন। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমাদের দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে মনে করি। ক্যাম্পাসের মধ্যে ধূমপান ও মদ্যপান করার সম্পূর্ণ অধিকার আমাদের রয়েছে।’

   

আমরা সিসিটিভির বিরুদ্ধে দাবি ওই তরুণীর : শ্রীজাতা নিজের দাবিতে অনড় থেকে আরও বলেন, ‘এই অধিকার আমাকে কেউ দেয়নি। এটা আমার অধিকার। তবে স্কুল পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ের মধ্যে এই ধরনের কাজ করা উচিৎ নয়। কারণ তাঁরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আমি একবারও বলছি না সবাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মদ্যপান করুক। কিন্তু কেউ যদি চায়, বাথরুমে গিয়ে মদ্যপান করতে পারে। সিসিটিভি লাগিয়ে বা নজরদারি করেও সেটা আটকানো যাবে না। আমরা সেই নজরদারি করার বিরুদ্ধে।’

চাপে পড়ে ক্ষমা চাইলেন পড়ুয়া : যদিও পরবর্তী সময়ে চাপের মুখে দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ক্ষমা চেয়েছেন শ্রীজিতা। তিনি বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে করা আমার বিভিন্ন মন্তব্য এদিক ওদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেহেতু আমি কলা বিভাগ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধি, তাই আমার ব্যক্তিগত মতামত দূরে সরিয়ে রেখে মদ্যপান ও ধূমপান নিয়ে করা আমরা মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছি। তবে আমি এখনও বিশ্বাস করি আমাদের ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের খুব একটা লাভ হবে না।’

আরও পড়ুন : লাদাখে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে ভারতীয় সেনার ট্রাক, মৃত ৯ জওয়ান

কী বলছে TMCP? এ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা ও দলীয় মুখপাত্র সুদীপ রাহা বলেন, ‘এই কারণেই আমি কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাগিং, মদ, গাঁজার অজুহাত হয়ে গিয়েছে। স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বশাসনের অজুহাত দেখিয়ে এই সব অপকর্ম চলছে। সেই কারণে ক্যাম্পাসে ক্যামেরা বসানো দরকার। নজরদারি চালানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্তও করা দরকার।’

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর