বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ইংরেজির দ্বিতীয় বর্ষের এক দৃষ্টিহীন ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি। ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মালবাজারে দাদুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার পর ফের একবার কাঠগড়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
ছাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তীর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ছাত্র এবং এক গবেষকের দিকে। জানা গেছে মৃত ছাত্রীর নাম রেনেসাঁ দাস। মৃত ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ছাত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্থা করতেন অভিযুক্ত দুজন। বন্ধুত্বের নামে প্রতারণার অভিযোগও তুলেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার।
আরোও পড়ুন : রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় ফতোয়া! পাল্টা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার নিদান ইমামের
সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী, দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে। কিছুদিন আগে তিনি বাড়ি যান। ১৮ই জানুয়ারি দাদুর বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ছাত্র ও গবেষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়।
আরোও পড়ুন : এবার সাধ্যের মধ্যে হবে স্বপ্নপূরন! 5G বাজারে Vivo’র নয়া চমক, আকর্ষণীয় দামে লঞ্চ হল এই স্মার্টফোনটি
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত্যুর আগে ওই ছাত্রীর একাধিকবার অভিযুক্ত দুজনের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। এমনকি শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের প্রমাণও মিলেছে। বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের কনভেনর আনিফুর ইসলাম জানিয়েছেন, “আইন আইনের পথে চলবে। যেহেতু অভিযুক্তরাই বিশেষভাবে সক্ষম, সেক্ষেত্রে যেন বিষয়টি লঘু ভাবে দেখা না হয়।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু এই বিষয়ে বলেছেন, “আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তবে এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কতটা কী করার আছে, তা বলতে পারব না। যেহেতু যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা ছাত্রীর বাড়িতেই ঘটেছে। ” জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রকে মানসিক ও শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয় বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তন পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার এক বছর পার হতে না হতেই, ফের একবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু।