বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) ফের উত্তেজনা। ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের কটূক্তি, এবং এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে চার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রী মহলে।
ঠিক কী ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) চত্বরে?
অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) খেলার মাঠে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কলা বিভাগের পড়ুয়াদের মধ্যে বচসা থেকে শুরু হয়ে হাতাহাতিতে পরিস্থিতি গড়ায়। ছাত্রীদের কটূক্তি, হাতে মচকে দেওয়া এবং এক ছাত্রকে ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চার পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।
বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) সূত্রে জানা যায়, পৃথ্বীশ দাস, সৃজন সর্দার, দু’জনেই কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া। বাকি দু’জন অমিত ধীবর (প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং) এবং ধ্রুব মাহাত (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং)। অভিযোগ উঠতেই চার পড়ুয়ার ক্যাম্পাসে প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত
ঘটনার সূচনা একটি সাধারণ বিষয়কে ঘিরে। জানা যায়, এক জোড়া ছেলে-মেয়ে হাত ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ভিতরে হাঁটছিলেন। অভিযোগ, সেই দৃশ্য দেখে সৃজন সর্দার-সহ চার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তাঁদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন, “ক্যাম্পাস কি প্রেম করার জায়গা? এটা কি পার্ক?” এর পরই শুরু হয় বচসা।
অভিযোগকারিণী ছাত্রী অনুষ্ণা দাস জানান, বচসা চলাকালীন সৃজনরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। তিনি বলেন, “যে ছেলে-মেয়েটিকে মন্তব্য করা হয়েছিল তারা যখন প্রশ্ন করে কেন বলা হচ্ছে এই কথা, তখন সৃজন সর্দার ওই মেয়েটির হাত মচকে দেয়। তার পরেই গোলমাল বাড়তে থাকে।” শুধু তাই নয়, ছাত্রীদের কটূক্তি করার পাশাপাশি কলা বিভাগের এক ছাত্রকে ফেলে মারধর করার অভিযোগও ওঠে অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও।

আরও পড়ুনঃ প্রাথমিকে নিয়োগ নোটিস জারি হতেই হাই কোর্টে মামলা! কী দাবি মামলাকারীর?
বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও পড়ুয়ার কেরিয়ার নষ্ট হোক তা বিশ্ববিদ্যালয় চায় না। তবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করলে কড়া পদক্ষেপ নিতেই হবে।” বর্তমানে চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিও ঘটনার উপযুক্ত প্রমাণ সংগ্রহ শুরু করেছে।












